প্রথম ওয়ানডের মতো ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারানোর মতো ঘটনা আজ ঘটেনি। তবে উইকেট পড়ছে নিয়মিত বিরতিতেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় জুটিই হচ্ছে না মেহেদী হাসান মিরাজদের।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দলীয় ১০ রানে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামাল দেন পারভেজ হোসেন ইমন। তাদের দুজনের ব্যাটেই শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় টাইগাররা। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৫ রান তুলে সফরকারী দল।
ইমন চাপ সামলে দ্রুত রান তুললেও শান্ত সেখান থেকে বের হতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র শেষে চারিথ আসালাঙ্কাকে ব্যাকফুটে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে খেলার চেষ্টায় মাহিশ থিকশানার হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ১৯ বলে ১৪ রানে।
নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে দলীয় রান একশ পার করেন তিনি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইমন হাসারাঙ্গার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে ৬৯ বলে ৬৭ রান। বেশিক্ষণ টেকেননি দলপতি মিরাজও। ৯ রান করে দুশমন্থ চামিরার শর্টলেন্থের বলে ক্যাচ তুলে দেন।
১২৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে তাওহীদ হৃদয় শামিম হোসেনের ব্যাটে। হৃদয় কচ্ছপ গতিতে খেললেও ওয়ানডের আবেদন অনুযায়ীই খেলছিলেন শামিম। ব্যক্তিগত ২২ রানে আসিথা ফার্নান্দোর বলে জানিথ লিয়ানেজকে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে ব্যাট করছে। ৪৭ বলে ২৮ রান নিয়ে হৃদয় ও ৬ রান নিয়ে জাকের আলী অনিক ক্রিজে রয়েছেন।