Anti-Fascist Neo-Democratic Left front staged a rally and brought out a procession against granting corridor to Arakan Army.
চট্টগ্রাম বন্দর-টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়াসহ করিডোর ও সামরিক কারখানা প্রতিষ্ঠার নামে বাংলাদেশকে আমেরিকার যুদ্ধে জড়ানোর প্রতিবাদে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার উদ্যোগে রবিবার (১৮ মে) বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশীদ ভূঁইয়া, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, মনজুর আলম মিঠু প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন।
বক্তাগন বলেন, সরকার তাদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে একের পর এক ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ এবং দেশের মানুষের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের সবচাইতে ক্রিয়াশীল ও বেশি লাভজনক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দুবাই ভিত্তিক ডি পি ওয়ার্লডের হাতে তুলে দেওয়া ও রাখাইনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। যার সাথে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা গভীর ভাবে যুক্ত। এসমস্ত জাতীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কোন সরকারের পক্ষে রাজনৈতিক দল ও দেশের মানুষের মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। একটা অনির্বাচিত, অস্থায়ী, অন্তর্বতী সরকার জাতিকে অন্ধকারে রেখে চরম সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দেশের স্বার্থ বিরোধী এরূপ সিন্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে না।
নেতৃবৃন্দ, অন্তর্বতী সরকারের ঔদ্ধত্যপূর্ন জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে আরও বলেন মানবিক করিডোরের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বঙ্গোপসাগর নিয়ন্ত্রণের অভিলাষ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ কিনা সে প্রশ্নও যেমন সামনে আসে, একইসাথে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের কাছে বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার অভিলাষ কিনা সেই প্রশ্ন তোলারও যথেষ্ট অবকাশ আছে। বাংলাদেশে সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের জন্য কাতারের বিনিয়োগকারীদের আহ্বানও করতে পারে না। এই সমস্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক-এক উপদেষ্টা এক-এক সময় এক-এক কথা বলছেন। অবিলম্বে জাতীর কাছে এই সমস্ত বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। তারা বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ধৃষ্টতাপুর্ণ বক্তব্যে তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী যেকোন পদক্ষেপসহ বাংলাদেশকে আমেরিকার যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় এসে শেষ হয়। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি