News update
  • ৬৪ লাখ টাকা খরচ করেও স্বপ্নই রয়ে গেল ইতালি     |     
  • Stock Market falls 150 points; Is Indo-Pak tension to blame     |     
  • Pakistan claims it has shot down five Indian fighter jets and a drone     |     
  • India says its strikes are of non-escalatory nature: BBC summary      |     
  • Waterways gasp for breath in Feni; 244 rivers, canals dying     |     

ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আলিমদেরকে রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে হবে

রাজনীতি 2024-09-16, 11:02pm

mufti-syed-fayzul-karim-senior-nayebe-amir-of-islami-andolan-bangladesh-e6cb084603fcc953e402d86cd115a52c1726506161.jpg

Mufti Syed Fayzul Karim, Senior Nayebe Amir of Islami Andolan Bangladesh.



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য ওলামায়ে কেরামকে রাজনীতির ময়দানে সরব উপস্থিতি প্রমাণ করতে হবে। ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামপন্থিগণ এক হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র নিয়ামক শক্তি। ওলামায়ে কেরাম পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব চলে গেছে জালিমদের হাতে। জালিমদের হাত থেকে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ে অনিবার্য দাবি।

আজ বিকেলে রাজধানীর উত্তরাস্থ হোয়াইট হলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর আওতাধীন উত্তরা পশ্চিম থানা শাখার উদ্যোগে ‘আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিকা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট আলেমেদীন  মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, শায়খুল হাদিস মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, শায়খ সাদনাউল্লাহ আজহারী, মুফতি মোহাম্মাদুল্লাহ আনসারী, মুফতী মফিজুর রহমান, মাওলানা গাজী আব্দুল জব্বার, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ উত্তরা পশ্চিম থানা সভাপতি সভাপতি মুফতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুফতি মিজানুর রহমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় বৃহত্তর উত্তরার বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, মসজিদের ইমামগণ বক্তব্য রাখেন।

মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরাম বৃটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুচনা করেন। শাহ আব্দুল আজিজ রহ. ভারত উপমহাদেশকে দারুল হরব ঘোষণা করলে স্বাধীনতার সুচনা হয়। ভারত বিভক্ত কেবল ইসলাম ও মুসলমানের ভিত্তিতে। কাজেই রাষ্ট্র্র মুসলমানদের অধিকার সবার। সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্ব দিতে হবে ওলামাদের। ওলমায়ে কেরাম সবচেয়ে বেশি জীবন ও রক্ত দিয়েছে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ৮০ হাজার ওলামাকে হত্যা করা হয়, ১৪ হাজার আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। কাজেই ওলামায়ে কেরামও সবচেয়ে বেশি হকদার রাষ্ট্র গঠনে। তিনি বলেন, ৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আলেমদের অবদান অনস্বীকার্য। জীবনের মায়া ত্যাগ করে কারফিউ ভেঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। এই আন্দোলনে ওলামাদের অবদান না থাকলে কী হতো? কেউ চিন্তা করেছেন?

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মুহাম্মদ সা. রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। এখনও নবী মুহাম্মদ সা. এর ওয়ারিশ ওলামায়ে কেরামকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হবে। ইনসাফভিত্তি সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দিতে হবে ওলামাদের। যার ভিতর ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের হাত থেকে আলিমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি