News update
  • EU’s Ocean Leadership Faces Test as Treaty Clock Ticks     |     
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     

জাতীয় জনতার জোট নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

রাজনীতি 2023-09-02, 12:58am

the-formation-of-a-new-political-alliance-jatiya-janatar-jote-was-announced-on-thursday-at-the-national-press-club-95e4a054e8050c7a94a5fe18faacf0fd1693594724.jpg

The formation of a new political alliance - Jatiya Janatar Jote, was announced on Thursday at the National Press Club.



৩১ শে আগস্ট রোজ বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোট এর চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা ও করনীয় শীর্ষক আলোচনা” এবং জাতীয় জনতার জোট এর নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপিস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব ফরহাদ মজহার, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আমসা আমীন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান জনাব রাসেল কবির, মানবতা পার্টির চেয়াম্যান মাওলানা কারী মোঃ আব্দুল মজিদ পঞ্চগড়ী, বাংলাদেশ জনতা ঐক্যের চেয়ারম্যান জনাব আরিফুর রহমান, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের মহাসচিব জনাব সাহেল আহমেদ সোহেল, জনতা ঐক্যের মহাসচিব জনাব বিল্লাল হোসেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় জনতার জোট এবং বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন জাতীয় জনতার জোট একটি উন্মুক্ত মঞ্চ । এখানে সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী শ্রমজীবি, সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহন করতে পারবে এবং আমাদের মঞ্চে দেশের জন ̈ প্রত্যেকের সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারবে।

আমরা জানি বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিষেদগার নিয়ে ব্যস্ত, তারা কেউ যদি ১ ঘন্টা বক্তব্য দেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিজের দলের নেতাদের তোষামদি করেন বাকি সময়টা অন ̈ দলের বিরোধিতা নিয়ে বলে থাকেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে কথা বলার সময় তাদের হাতে থাকে না। জাতীয় জনতার জোট বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে জাতীয় জনতার জোট মানুষের সমস্যা এবং এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় এর উপায় নিয়ে কথা বলবে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা এই সংস্কৃতি থেকে জাতীয় জনতার জোট এদেশের মানুষকে বের করে আনতে চায়। আমরা মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন চাই, মানুষের মধ্যে মানতবতাবোধ জাগ্রত করতে চাই। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতি অনিয়ম এবং সিস্টেম লস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষার উন্নয়ন করে কর্মভিত্তিক শিক্ষা চালু করে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষিত ছেলে বাংলাদেশের জন্য বোঝা না হয়ে, এদেশের একেকটি মানব সম্পদে রূপান্তরিত হবে। আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় রেফারাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চাই । চিকিৎসা ক্ষেত্রে তৃনমূল পর্যায়ে প্রত্যেকটা থানা হেলথকপ্লেক্সে সকল ইনভেস্টিগেশনের এর সকল যন্ত্রপাতি বিদ্যমান থাকবে। স্বাস্থ্যসেবার তৃণমূল পর্যায়ের জনতা সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাবে। আমরা কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭০% নাগরিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই। বাংলাদেশে এখন প্রায় ছয় কোটির মত বেকার, সরকারি চাকুরিতে যত কোটা আছে, সেখানে একলক্ষ লোকের ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়, ফলে তাই বেসরকারি খাতে কর্মীবান্ধব বাস্তব সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ ̈মে বেকার সমস্যা সমাধান করতে চাই। দেশে শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।

জাতীয় জনতার জোট কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ সহ সকল নাগরিকের জন ̈ মানবিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

দুর্নীতি চারপাশে আমাদেরকে গ্রাস করেছে, দুর্নীতি মুক্ত একটি সফল রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমরা তৃতীয় শক্তি গড়তে চাইনা, বাংলাদেশের বিকল্পশক্তি হতে চাই। আমাদের ৩০০ আসনে প্রার্থীদেওয়ার সক্ষমতা আছে তথাপী আমরা নির্বাচনে যাবো কি যাবো না এই সিদ্ধান্ত সময়ই বলে দিবে। কারণ দেশে যদি সেই পরিবেশ তৈরি না হয় তাহলে নির্বাচন করা না করার সামীল। উক্ত আলোচনায় সকল আলোচক গণ জাতীয় জনাতার জোট বাংলাদেশের মানুষের আশার বিশ^ ̄' স১⁄২ী হবে এবং সাধারণ জনতার সমস্যার সমাধানে রাজপথে বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করবে এই আশা ব্যাক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ফরহাদ মাজহার বলেন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা না গেলে গত কয়েক দশকে গড়ে ওঠা সুবিধাবাদী, সন্ত্রাসী ও লুটেরা শক্তিকে পরাভূত করা সম্ভব হবে না। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ ̈ দিয়ে জনগণের বিজয় নিশ্চিত না করে তথাকথিত জাতীয় বা অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব ̈ব্যাবস্থা অক্ষুন্ন রেখে ক্ষমতা লাভের খায়েশ মাত্র। তাই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ছোট-বড় সব দলকে নিয়ে একটি অন্তর্বতীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।

অন্তর্বতী সরকারের কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সভা আহ্বান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করা। নতুন গঠনতন্ত্রে  ̄স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের সময় সব নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নতুন শাসনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বতী জাতীয় সরকার পদত্যাগ করবে এবং নতুন শাসনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ। আমরা এক ফ্যাসিবাদীকে হটিয়ে অন ̈ ফ্যাসিবাদীকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না।

মোঃ রাসেল কবির, চীফ মিডিয়া উইং, জাতীয় জনতার জোট, মোবাইল নং- ০১৬৭৩১৪৪৫৯১