News update
  • US Issues Travel Alert for Bangladesh Ahead of Election     |     
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     

যে কারণে মার্কিন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন উমামা ফাতেমা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-03-30, 7:02am

img_20250330_065921-d1bf741e98244b4e3ec15f71d874143c1743296548.jpg




জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল নারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ পুরস্কার  প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান। 

ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে উমামা ফাতেমা বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নারী আন্দোলনকারীদের বিশেষ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ডের অধীনে ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানের সকল নারীদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া লেখাটি নিজের পোস্টে উদ্ধৃত করে উমামা ফাতেমা বলেন, আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মিলানিয়া ট্রাম্প পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন।

তবে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে বলেন, নারী আন্দোলনকারীদের কালেক্টিভ স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নারকীয় হামলাকে প্রত্যক্ষভাবে এন্ডোর্স করে যাওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করে পুরস্কারটি ইসরায়েলের হামলাকে যে প্রক্রিয়ায় জাস্টিফাই করেছে তা পুরস্কারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক মানবাধিকার (ভূমির অধিকার) থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান রেখে এই পুরস্কার আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করলাম।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্মানজনক ‘মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীরা। এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলনে সাহসী একদল নারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা অসাধারণ সাহসিকতার সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন; হুমকি ও সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুরুষ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন। সহযোদ্ধা পুরুষ বিক্ষোভকারীদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তখন এই নারীরা উদ্ভাবনী উপায়ে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এমনকি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পরও বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন তারা। অনিশ্চয়তার মধ্যেও তাদের এই সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থতা অসমসাহসের আরেক সংজ্ঞা। 

এর আগে, ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইডব্লিউওসি পুরস্কার দিয়ে আসছে আর আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গেই ২০২৩ সাল থেকে মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। বিশেষ সাহসিকতার জন্য দলগতভাবে নারীদের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়ে থাকে। 

শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লৈঙ্গিক সমতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় যারা ব্যক্তিগতভাবে ঝুঁকি নিয়ে ও ত্যাগ স্বীকার করে ব্যতিক্রমী সাহস দেখান এবং নেতৃত্ব দেন, তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমবার এই পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরানের সেই সাহসী নারীরা, যারা মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ করে সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

এবার আইডব্লিউওসি পুরস্কার পেয়েছেন বুরকিনা ফাসোর হেনরিয়েত্তে দা, ইসরায়েলের অমিত সৌসানা, পাপুয়া নিউগিনির মেজর ভেলেনা ইগা, ফিলিপাইনের অ্যাঞ্জেলিক সঙ্কো, রোমানিয়ার জিওর্জিয়ানা পাসু, দক্ষিণ সুদানের জাবিব মুসা লোরো বাখিত, শ্রীলঙ্কার সামিনি বিজেদাশা ও ইয়েমেনের আমাত আল সালাম আল হাজি। আরটিভি