News update
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-03-30, 7:06am

img_20250330_070406-668fd57cd61632a42c4697e7f3b8b6751743296774.jpg




মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না এখনও।

শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ১৬শ ছাড়িয়ে গেছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি। খবর বিবিসির

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়তেই ১৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়া মানুষের খোঁজে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে অনেক জায়গায়।

উদ্ধারকাজে যুক্ত নাগরিক দলের ওই সদস্য জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে কতটা অসহায় বোধ করছেন তারা। ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়া মানুষের আর্তচিৎকার ভেসে আসছে। খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছিলেন তিনি।

মান্দালয়ের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, একটা হোটেল ভেঙে পড়েছে যার নিচে আটকে রয়েছেন অনেকে। তিনি বলেন, আমি মায়েদের কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তাদের সন্তান ভেঙে পড়া ওই হোটেলের স্তূপের নিচে আটকে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখা যায় না।

মিয়ানমারের বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যেই আতঙ্কের ছাপ রয়েছে এখনও। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এর তীব্রতা এতটাই ছিল যার প্রভাব দেখা গেছে থাইল্যান্ড ও চীনেও।

শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আফটার শকও অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পরে দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার মৃদু কম্পন অনুভব করা গিয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মান্দালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারের একাধিক অঞ্চল এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে মান্দালয়, সাগাইং, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও এই ভূমিকম্পের প্রভাবে বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি ভবন মুহূ্তেই মাটিতে মিশে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অডিট জেনারেলের নতুন কার্যালয় হিসেবে নির্মাণাধীন এই ভবনটির অন্তত ১০০ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ আছেন। শনিবার দুপর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবনটির আরও নিচের দিকে দেবে যাওয়া এখনও থামেনি। উদ্ধার অভিযান চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার রাতেও ওই ভবনের নিচে আটকে থাকা একাধিক মানুষের বেঁচে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, এখন তাদের অনেকের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাড়া মিলছে না। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা হাল ছাড়েননি।