News update
  • Another July warrier shot in head, critical in Khulna hospital     |     
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     

হু হু করে বাড়ছে মেঘনার পানি, দিশেহারা ২ শতাধিক পরিবার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-07-27, 8:59pm

0399d10822eb94ffdaaf8760c13594bc2e35ca167552d2a2-f61a9dc633bb80262c13478c7208425f1753628393.jpg




মেঘনা নদীর শাখা খালগুলো জোয়ারে তলিয়ে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে ঢুকছে পানি; ভাঙছে নদীর পাড়। গত এক সপ্তাহে ১৫টি ঘর চলে গেছে মেঘনায়। সরিয়ে নেয়া হয়েছে শতাধিক স্থাপনা। মেঘনা নদীর শাখা খালগুলোর দুপাড়ে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দুই শতাধিক বসতভিটা।

সরেজমিনে শরীয়তপুরে গোসাইরহাটের মেঘনা নদী পাড়ে গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

আলাউলপুর ইউনিয়নের চর জালালপুর এলাকায় কথা হয় গৃহবধূ রিজিয়া বেগমের সঙ্গে; তিনি জানান, মেঘনা নদীর শাখা খাল পাড়েই তার বসতি, খালের প্রবল স্রোত ও পানিবৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙনের কারণে সরিয়ে নিতে হয়েছে একটি ঘর। অপর ঘরটিতেও দেখা দিয়েছে বড় বড় বেশ কয়েকটি ফাটল। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘দূর প্রান্তে তাকিয়ে দেখছি নদীর আগ্রাসী রূপ, পরক্ষণেই আবার ছুটে যাই ঘরের ভিতরে। শেষবার কোনো সুযোগ আছে কিনা বাকি ঘরটি রক্ষা করার। চিন্তার ভাঁজ যেন কাটছে না গৃহপালিত পশুগুলো নিয়েও। অন্যের কাছ থেকে শর্তে আনা গৃহপালিত পশুও এখন ঘাড়ের ওপরে বিষফোঁড়া। নেই পশুগুলোর খাদ্য, ভেঙে নিয়ে গেছে থাকার ঘরটুকু।

ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাওয়ার মত নেই তার নিজের কোনো জায়গা। সবকিছু মিলিয়ে এক সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন রিজিয়া বেগম। ঘর রক্ষার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি তার।

রিজিয়ার মত এমন ঘর সরিয়ে নেয়া ও ভাঙন ঝুঁকিতে আলাউলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিদ্দি ঢালীর গ্রাম, অলি সরদারের গ্রাম, যুগো বেপারীর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার। এলাকাগুলোতে নেই বিদ্যুৎ, নেই শুকনো খাবার, নেই ঘর সরিয়ে নেয়ার মতো মানুষ, নেই যাতায়াত ব্যবস্থা। দিন কোনোরকমে কাটলেও রাতে ভাঙন আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেন না এ সব মানুষ। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভাঙন কবলিত মানুষের।

আলাউলপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খাদেম দেওয়ান বলেন, ‘৭নং ওয়ার্ডের শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তাদের নেই ছিটে ফোটা জায়গা। কোথাও নিয়ে যে বসতি করবেন তার কোনো অবস্থা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাঙনের বিষয়ে অবগত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এখনো। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ও খালের তীরে জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করলে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়বে আরও অনেক বসতি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের।’

এ বিষয়ে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, ‘বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা-মেঘনার পানি, এতে প্লাবিত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, আমাদের বন্যা প্রতিরোধক কোনো বাধা নেই, তবে ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের দৃষ্টি থাকবে। ভাঙনের কারণে যেন কারো কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।