প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর দেওয়া হবে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। তবে আয়োজকরা সোমবার (১৯ মে) জানিয়েছেন, এই প্রথমবারের মতো ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে সমান পুরস্কার দেওয়া হবে। তা ছাড়া এ বছর কোন কোন মানদন্ডের ওপর ভিত্তি করে এ পুরস্কার দেওয়া হবে, সেটিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্যালন ডি’অরের ক্ষেত্রে যেসব ক্রাইটেরিয়া আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। এছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং ম্যাচে সেই খেলোয়াড়ের প্রভাব। অর্থাৎ, একজন খেলোয়াড় তার দলকে জেতাতে ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটিও বিবেচিত হবে।
এছাড়া শিরোপা জয়, সম্মিলিত সাফল্য এবং ফেয়ার প্লে; ব্যালন ডি’অর দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব কিছু বিবেচনায় নেয়া হবে। মাঠের খেলায় একজন খেলোয়াড়ের আচরণ কেমন, তার মধ্যে স্পোর্টম্যানশিপ আছে কি না তাও বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে ১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের প্রচলন করা ফ্রান্সের সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ও উয়েফা জানিয়েছে, মেয়েদের বিভাগে সেরা নারী গোলকিপার, সেরা উদীয়মান নারী খেলোয়াড় এবং ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল করা নারী ফুটবলারের পুরস্কার এবার সংযোজন করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে সমান ছয়টি করে পুরস্কার দেওয়া হবে। এর বাইরে রয়েছে ‘সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড’। বিভিন্ন সামাজিক ও সংহতিপূর্ণ কাজের জন্য ২০২২ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়, যা ছেলে ও মেয়েদের বিভাগ থেকে যে কেউ জিততে পারেন।
২০২২ সালে পুরস্কারটি জেতেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, ২০২৩ সালে ব্রাজিল উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র এবং গত বছর এ পুরস্কার পেয়েছেন স্পেন নারী দলের তারকা হেনি হেরমোসো।
আগস্টের শুরুতে ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। গত বছর ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে বিতর্ক হয়েছে। ভিনিসিউস ছেলেদের বিভাগে বর্ষসেরার পুরস্কার পাচ্ছেন না জানার পর তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বর্জন করে। ছেলেদের বিভাগে এ পুরস্কার জেতেন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি।
এবার ছেলেদের বিভাগে ব্যালন ডি’অর জয়ের আলোচনায় আছেন পিএসজির উসমান দেম্বেলে, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা, ভিতিনিয়া, ইন্টার মিলানের লাওতারো মার্টিনেজ, ডেঞ্জেল ডামফ্রিস, বার্সেলোনার রাফিনিয়া, পেদ্রি, লামিনে ইয়ামাল, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ।