
Tourist arrivals up in Kuakata to welcome New Year 2026.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একই স্থানে দাড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য। তাই বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন বছরের প্রথম সূর্যকে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। বুধবার দুপুরে দেখা গেছে সমুদ্র সৈকতে আগমন ঘটেছে হাজারো পর্যটকের।
বুধবার সকাল থেকে সৈকতে এ সকল পর্যটকদের আগমন ঘটে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কম বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কম সংখ্যক হলেও আগত পর্যটকরা সৈকতে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। অনেকে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও নোনা জলে গা ভেজাচ্ছেন। তবে শতভাগ হোটেল বুকিং না থাকলেও বুকিং রয়েছে ৫০ শতাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ। আগামীকাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।
সৈকতের ছাতা বেঞ্চি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আগামীকাল আরও পর্যটক আসবে।
হোটেল খান প্যালেসের স্বত্বাধিকারী আ. রহিম খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর কারনে আজকে পর্যটক কম আসছে, তবে কালকে থেকে বেশ পর্যটক আসবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ জানান, এবার সাপ্তাহিক ছুটিতে ভাবছিলাম অনেক পর্যটক হবে। এখন দেখি প্রচুর শীত। শীতের কারনে পর্যটক কম আসছে।তবে প্রায় হোটেলে ৫০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। আগামীকালও পর্যটক আসবে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন ঘটেছে, তবে শীতের কারনে একটু কম আসছে।আমরা পৌর প্রশাসন, টুরিস্ট পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত আছি। - গোফরান পলাশ