News update
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     
  • Hamas ready and serious to reach an accord if it ends war     |     
  • Paradise lost: Cox’s Bazar tourists shocked by wastes at sea     |     

স্বস্তি ফিরছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারে, নেপথ্যে কী?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-12-13, 7:20pm

tryeryer-7889c0e082871dcfe8c36141d92af27d1734096126.jpg




সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। পাশাপাশি আমদানি বাড়ায় ও পাতাসহ পেঁয়াজের প্রভাবে এখন নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজারও।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গত ৫ সেপ্টেম্বর আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে গত ৬ নভেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সুবিধা ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এর পর থেকে আমদানি বাড়ায় কমতির দিকে পেঁয়াজের বাজার। ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সাফিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে হবে। আমদানি বাড়লে সিন্ডিকেটের সুযোগ পাবেন না ব্যবসায়ীরা। তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে।

বর্তমানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০৬-১১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।

পেঁয়াজের দাম কমার তথ্য মিলেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যানেও। তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৯.৬৪ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১৪.২৯ শতাংশ কমেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের কালি (কেজি ৫০-৬০ টাকা) ওঠায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে পুরোদমে উঠতে শুরু করলে দাম আরও কমবে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিক্রেতা আনিস জানান, কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। মূলত বাজারে পাতাসহ ছোট পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম কমছে। ছোট পেঁয়াজসহ এর পাতার দিকে বেশি ঝুঁকছে মানুষ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে দামে।

আড়তদার ও আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে নিয়ন্ত্রণে আমদানির বিকল্প নেই। আমদানি বাড়ায় দাম কমছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের খলিল বলেন, বর্তমানে আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০৬ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকায়। মূলত ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এর প্রভাব বাজারে পড়ছে।

এদিকে, স্বস্তির খবর মিলেছে উত্তাপ ছড়ানো আলুর বাজারেও। তবে গত সপ্তাহেও চড়া ছিল আলুর বাজার। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন খোদ বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছিলেন, সামনে আর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।

বর্তমানে কেজি ৫-১০ টাকা কমে প্রতি কেজি পুরান আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম কমে নতুন আলুও বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আলুর দাম কমার তথ্য মিলেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের পরিসংখ্যানেও। তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম ৩.৫৭ শতাংশ কমেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা নতুন আলুর দাম ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায় নেমেছে। এ ধরনের আলুর আধিক্যের কারণে পুরান আলুর দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।

আর ক্রেতারা বলেন, বাজারে বেড়েছে আলুর সরবরাহ। এতে দাম কমায় বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। আমদানি ও বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখলে এ দাম আরও কমে আসবে।

এর আগে দেশের আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে এনবিআর। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে, ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পাশাপাশি নিয়মিত বাজারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সময় সংবাদ