News update
  • Gaza hospital says 20 killed in Israeli strike on Nuseirat     |     
  • Officials warned against negligence in OMS food distribution     |     
  • Dhaka’s air quality 2nd worst in the world this morning     |     
  • Eleven missing after South African trawler sinks     |     
  • 800,000 have fled fierce fighting in Rafah, UN says     |     

সিলেটের নদ নদীর ১৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ১১ টিতে পানি বেড়েছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-06-29, 7:40pm

image-48337-1656508485-7e1a04d398171dd71212e7318d126c811656510040.jpg




সিলেট ও সুনামগঞ্জে ফের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভাগের নদীগুলোর পানি ১৫ টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ১১ টি স্টেশনের পানি বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান উপ বিভাগ (বাপাউবো) সিলেট এর বুধবার বিকেলের তথ্যমতে বিভাগের চার জেলায় নদীগুলোতে পানি পরিমাপের ১৫ টি পয়েন্ট রয়েছে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট অঞ্চলের ১১ টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে, বাকি ৪টি পয়েন্টে অল্প পরিমাণ পানি কমছে। এছাড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদ নদীর ৮ টি পয়েন্টে পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে আবারো আতংক দেখা দিয়েছে। সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী ছাতক পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১.৬১ মিটার, সুরমা দিরাই পয়েন্টে ১.১২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা অমলশিদ জকিগঞ্জ পয়েন্টে ১.১৪ মিটার, কুশিয়ারা শেওলা বিয়ানীবাজার পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা  ১.০৩ মিটার, কুশিয়ারা শেরপুর পয়েন্টে ৫১ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বাপাউবোর তথ্যমতে গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগের নদ নদীর  ১১টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, এরমধ্যে সুরমা নদী কানাইঘাট, সিলেট, ছাতক, সুনামগঞ্জ, দিরাই পয়েন্ট, যাদুকাটা তাহিরপুর সুনামগঞ্জ, কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্ট, মনু নদী, ধলাই নদী ও পিয়াইন নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ১৫ জুন থেকে উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয় পুরো সিলেট বিভাগ। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে পানি ধীর গতিতে নামলেও প্লাবিত রয়েছে বেশিরভাগ এলাকা। ফলে অনেকে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে দিনাতিপাত করছেন। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে আবারো আতংক দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত পানি পুরোপুরি না নামলেও সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। এরইমাঝে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে, সহসাই বৃষ্টিপাত না কমলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের মধ্যে সরকারী ও বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান বাসসকে জানিয়েছেন সরকারের নির্দেশনানুযায়ী জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যেখানে যা  প্রয়োজন সে অনুযায়ী কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তথ্য সূত্র বাসস।