News update
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands in Dhaka     |     
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেলেও হেরে গেল বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-12-13, 9:14am

img_20241213_091124-86b6a612805afbf57ce59d182af833fd1734059646.jpg




মাহমুদুল্লাহ-জাকের জুটির নজরকাড়া ব্যাটিংয়ে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিলেও অনায়াসে জয় পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। তবে ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও শুরুতে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু আমির জঙ্গুর শতক ও ক্যাসি কার্টির ৯৫ রানের ইনিংসে জয় পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ২৫ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। স্বপ্নের অভিষেকে আমির জঙ্গু করেন ৮৩ বলে ১০৪ রান। সাথে গুড়াকেশ মোতির ঝোড়ো ৪৪ রানে রেকর্ড গড়েই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলিংয়ের শুরুতেই নতুন বলে হাসান মাহমুদ আর নাসুম আহমেদ দুজনেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ফিল্ডিং বিভাগও হতাশ করেনি। একটা রানআউট এসেছে। সঙ্গে আছে একটা ক্যাচও। টাইগারদের বছরের শেষ ওয়ানডে এবং চলতি বছরে নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে হাসান মাহমুদ প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৫ রান।

দ্বিতীয় ওভার করতে আসা নাসুম আহমেদের ওপর প্রথম বল থেকেই চড়াও হন ব্র্যান্ডন কিং। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ২ চার ও ১ ছক্কা। কিন্তু ওভারের শেষ বলেই ১ রান নিতে চেয়েছিলেন কিং। কিন্তু অ্যাথানেজ সাড়া দেননি। ততক্ষণে পিচের প্রায় মাঝপথে চলে এসেছিলেন কিং। মিরাজের থ্রো ছিল মাপা। বাকি কাজ সারতে ভুল করেননি লিটন দাস। দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যের পর ওভারেই নাসুম পান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা। স্টাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে চেয়েছিলেন অ্যাথানেজ। তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে ফুল লেংথের বল সরাসরি স্টাম্পে। এর পর অধিনায়ক শেই হোপ টিকতে পারেননি বেশি সময়। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বলে হিট করতে সময়ের গড়বড় করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। এতে প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন। দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আছেন ক্যাসি কার্টি এবং শেরফাইন রাদারফোর্ড।

যদিও খেলা তাদের থামাতে হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ৪৯ রানে ৭.৪ ওভারে থাকা অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। তবে, খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর অবশেষে আবার খেলা শুরু হয়। তবে ভালো খেলতে খেলতেই আউট হয়ে যান শেরফাইন রাদারফোর্ড। ইনিংসের ১৫তম ওভার করতে আসা তাসকিন শর্ট ডেলিভারি করেছিলেন। ছক্কা মারার আশায় পুল করতে গেলেন রাদারফোর্ড। কিন্তু ধরা পড়লেন তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। ক্রিজে আসেন নবাগত আমির জাঙ্গু।

এখান থেকেই মূলত উইন্ডিজের ভরসা জাগানো জুটির শুরু। দুর্দান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তুলে নেন ফিফটি। সুযোগ বুঝে চড়াও হয়েছেন তারা দুজন। তবে ৯৫ রান করে আউট হয়ে যান ক্যাসি কার্টি। তবে শেষ পর্যন্ত শতক আদায় করে নেন আমির জাঙ্গু। মূলত এই দুজনের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে ৩৪তম ওভারেই ফিরতে পারতেন আমির জাঙ্গু। রিশাদের সেই ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি লাইনে তার সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি পারভেজ ইমন।

পরের বলেই অবশ্য দারুণ এক ক্যাচে কেসি কার্টিকে ফেরান সৌম্য সরকার। বোলার সেই রিশাদই। ৯৫ রানে থামে তার ইনিংস। রস্টন চেজকে বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি রিশাদ। এবার নিজের বলে নিজে অসামান্য এক ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই লেগি। গুদাকেশ মোতিকে নিয়ে এরপর শেষটা করেছেন আমির জাঙ্গু। মোতি নিজেও খেলেছেন নিখুঁত ব্যাটারের মতো। ৩৫ বলেই ৫০ পার করে তাদের জুটি। জাঙ্গু পেয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ৭৯ বল খেলেই স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। ৯০ রানের জুটি গড়েছেন গুদাকেশ মোতির সঙ্গে। মোতি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ক্যারিবিয়ানরা জয় পায় ৪ উইকেটে।

এর আগে বাংলাদেশের মান বাঁচানোর ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের পেস আক্রমণে খেই হারা টাইগারদের টেনে তুলে মেহেদি-সৌম্য জুটি। আর ফিনিশিং দেন বরাবরের মতো মাহমুদুল্লাহ-জাকের জুটি। সেন্ট কিটসে এমনিতেই সিরিজ হেরে মানসিকভাবে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজে একটি জয় পেতে একাদশে তিন পরিবর্তন আনে টাইগাররা। এ দিন শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানার পরিবর্তে খেলানো হয় নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে।

টস হেরে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারকে নিয়ে মাঠে নামেন তানজিদ হাসান। দুই ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো খেলা তানজিদ এদিন শূন্য হাতে ফিরে যান। আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় ওভারে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন এই ওপেনার। এই ওভারেই পরে জোসেফের বলে তিনে নেমে শূন্য হাতে ফিরে যান লিটন দাসও। তখন ৯ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

এরপর সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যামিস্ট্রিতে ধসে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মেরামতের ইঙ্গিত পায়। দুই ম্যাচে রান না পেলেও মিরাজের সঙ্গে জুটি গেরে আশা জাগান সৌম্য। মোতির বলে লেগ বিফর উইকেটের ফাঁদে মাঠ ছাড়ার আগে ৭৩ বলে ৭৩ রান তুলে নেন এই ওপেনার। তার যাওয়ার সময় তিন উইকেটে হারিয়ে দলীয় স্কোর দাড়ায় ১৪৫ রান।

দ্বিতীয় ম্যাচে রান তুলতে না পারলেও এই ম্যাচে রান আউটের ফাঁদে পরার আগে ৭৩ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। টাইগার কাপতান ফেরার পর পরই দলীয় ১৭১ রানের মধ্যে আফিফকে হারায় বাংলাদেশ। গত ম্যাচে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-জাকের আলী জুটি আজও উজ্জল ছিলেন। ৬৩ বল খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। আর ৫৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। এই দুই জনের হার না মানা ১৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৩২১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। আরটিভি