১৬ বছরের দুঃশাসন আর গুম-খুনের বিভীষিকা পেরিয়ে ২০২৪ সালের সাহসী অভ্যুত্থানে নারীর অংশগ্রহণ ছিল নজিরবিহীন। সেই ত্যাগ ও প্রতিরোধকে স্মরণে রেখে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংগীত, তথ্যচিত্র, স্মৃতিচারণ, প্রদর্শনী ও ড্রোন শোর মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে নারী সংগ্রামের অনন্য অধ্যায়।
সোমবার (১৪ জুলাই) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে ‘জুলাই ওমেন্স ডে’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান করা হয়।
আয়োজনের শুরুতেই প্রদর্শিত হয় আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই কন্যা’দের সংগ্রামী মুহূর্তগুলোর ছবি। শহীদ পরিবার এবং অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া নারী যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে ভারি হয়ে উঠে পুরো প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের ইতিহাসে কোনো অভ্যুত্থানে এতো বিপুল সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এরপরও নারীর অবদান এখনও সার্বিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। তারা আরও বলেন, ঘরে-বাইরে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে জুলাইয়ের চেতনা ব্যর্থ হবে।
জুলাই ওমেন্স ডে উপলক্ষে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগীতশিল্পী সায়ান, ইলা লালা, এফ মাইনর, পারসা মাহজাবিন ও এলিটা করিম একে একে মঞ্চে ওঠেন। সংগীতের ছন্দে আন্দোলনের আবেগ ছড়িয়ে পড়ে শহীদ মিনার চত্বরে।
রাত বারোটার দিকে আকাশজুড়ে শুরু হয় বিশেষ ড্রোন শো। আলোর সমন্বয়ে আকাশে ভেসে ওঠে প্রতিরোধের চিহ্ন, ‘জুলাই কন্যা’দের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সাহসী নারীদের মুখচ্ছবি। প্রতিটি মুহূর্ত যেন ছিল ত্যাগের নতুন উচ্চারণ।
সবশেষে একটি প্রতীকী মিছিল শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে এসে পৌঁছায় রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে। সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের মাধ্যমে শেষ হয় এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন।