News update
  • World leaders meet in Brazil to tackle global warming     |     
  • Brazil Launches Fund to Protect Forests and Fight Climate Change     |     
  • UN Warns Conflicts Are Devastating Ecosystems Worldwide     |     
  • Flood-hit Kurigram char residents see little hope in politics, elections     |     
  • Air quality of Dhaka continues to be ‘unhealthy’ Friday morning     |     

প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার মিশন শেষে বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর সমাপ্ত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2022-07-17, 8:19am




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব নেতাদের সাথে সাক্ষাতের পর ওয়াশিংটনে ফিরে আসছেন। তাঁর এই সফরকালে তিনি ইরানকে মোকাবেলা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সম্পৃক্ততার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি, চীন ও রাশিয়ার সাথে কৌশলগত প্রতিযোগিতায় প্রভাবের কথাও তুলে ধরেছেন।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের - নেতাদের এক সমাবেশে জিসিসি +৩ শীর্ষ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, "আপনাদের সকলের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করেছে। সম্মেলনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত - ছাড়াও মিশর, ইরাক এবং জর্ডানের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন।

বাইডেন এই অঞ্চলে আমেরিকানদের জড়িত থাকার মূল নীতিগুলি তুলে ধরেন, যার মধ্যে অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা এবং "নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা" যারা সমর্থন করে সেই সব দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতি সহায়তা প্রদান এবং বিদেশী ও আঞ্চলিক শক্তিগুলি যারা সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চায় তাদের প্রতিরোধ করার বিষয়টি রয়েছে।

তিনি এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার ইরানের কার্যকলাপ, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ডকে নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে খর্ব করার প্রচেষ্টার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাইডেন বলেন, ওয়াশিংটন উত্তেজনা কমাতে এবং "যেখানে সম্ভব" সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত মানবাধিকার ও মূল্যবোধকে সমর্থন করবে।

তিনি বলেন, "বিধি-ভিত্তিক আদেশকে সমর্থন করার অর্থ এই নয় যে আমাদের সবসময় প্রতিটি বিষয়ে একমত হতে হবে। কিন্তু এর মানে হল, আমরা মূল নীতিগুলির চারপাশে সারিবদ্ধ হই যাতে আমরা সবচেয়ে জরুরি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলিতে একসাথে কাজ করতে পারি।"

সেই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে, তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তার লক্ষ্যে ১০০ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা করেন। এছাড়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচির মোকাবিলায় ওয়াশিংটন যে বৈশ্বিক অবকাঠামো ও বিনিয়োগউদ্যোগ চালু করছে তার জন্য আরব নেতাদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।

শীর্ষ সম্মেলনের নেতারা ইরাকের বৈদ্যুতিক গ্রিডকে কুয়েত এবং সৌদি আরবের মাধ্যমে জিসিসির গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি চুক্তি ঘোষণা করেছেন, এইভাবে ইরানের উপর বাগদাদের নির্ভরতা হ্রাস হবে। তবে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তেলের উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ সাংবাদিকদের বলেন, “এটি সত্যিই শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার বিষয় ছিল না। ওপেক প্লাস "বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যা প্রয়োজন বলে মনে করে, তাই করবে।"

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন - আগামী মাসে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির ১৩ সদস্যের এবং রাশিয়াসহ অন্যান্য ১০টি তেল উৎপাদনকারী সংস্থার বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত কোনও তেল উৎপাদনের ঘোষণা প্রত্যাশিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন রাশিয়া ও তেহরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে সতর্ক করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে ইরান সরকার রাশিয়াকে অস্ত্র বহন-সক্ষম ইউএভি সহ কয়েকশ’ ড্রোন, বা ইউএভি সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

হোয়াইট হাউজ শাহেদ-১৯১ এবং শাহেদ-১২৯ জনমানবহীন আকাশযানের তিনটি ছবি প্রকাশ করেছে, যা নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন অত্যন্ত স্পর্শকাতর সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (প্রায়শই যার সংক্ষিপ্ত নাম এমবিএস বলে উল্লেখ করা হয়) এর সাথে তার শুক্রবারের বৈঠকের শীর্ষে খাশোগজির হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। বাইডেন বলেন, এমবিএস তাকে বলেছেন, তিনি ওই হত্যার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী নন।

সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শীর্ষ বৈঠকের নেতারা জিসিসি-ইসরাইল প্রতিরক্ষা জোট নিয়ে আলোচনা করেননি। তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সর্বোত্তম সমাধান হল কূটনীতি।

তিনি বলেন, "শেষ পর্যন্ত, এটি ইরানের উপর নির্ভর করছে যে, তারা কূটনৈতিক পথে সমাধান চায় কি না, আমরা আশা করছি শেষ পর্যন্ত তারা সেই পথেই এগুবে।" তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।