News update
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     
  • No new committee forming, focus on polls candidates: Tarique     |     
  • Dhaka-Beijing partnership to advance peace, prosperity: Yunus     |     
  • Banks in Bangladesh slash CSR; spending hits 10-year low     |     

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত থাকার দাবির পর গাজায় জাতিসংঘের এজেন্সিতে ইসরায়েলের হামলা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-01-28, 3:05pm

fddfhdjtutyu-ecf54b2cb36a67c0ad227eb3f4e975031706432745.jpeg




হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় জাতিসংঘ সংস্থার স্টাফ সদস্যদের অংশগ্রহণের অভিযোগের পর ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইসরায়েলি হামলার মুখে পড়েছে। এদিকে ইসরায়েলের হামলা তীব্রতর হওয়ায় আরও বেশি লোক গাজার দক্ষিণে মিশরীয় সীমান্তের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।  

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনিকে গভীরতর দ্বন্দ্বের কারণে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, বেশ কিছু দেশ সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে।  

সংস্থাটি শুক্রবার বলেছে, তারা ইসরায়েলের অনির্দিষ্ট অভিযোগে বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান এক পোস্টে তহবিল হ্রাসের কারণে গাজায় সংস্থাটির কার্যক্রম ধসের কাছাকাছি বলে উল্লেখ করার পর এর প্রতিক্রিয়ায় কাটজ শনিবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন, ‘মিস্টার লাজারিনি দয়া করে পদত্যাগ করুন।’  

কাটজ এর আগে বলেছেন, অঞ্চলটির সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে গাজার পুনর্গঠনে ইউএনআরডব্লিউএকে ‘প্রকৃত শান্তি ও উন্নয়নে সংস্থার নিবেদিতদের প্রতিস্থাপিত করতে হবে’।

শনিবার জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিনল্যান্ড সহ দাতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব অনুসরণ করেছে, তারা অভিযোগের জন্য সংস্থাকে অতিরিক্ত তহবিল স্থগিত করেছে।

হামাস শনিবার ইউএনআরডব্লিউএ-এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘হুমকির’ নিন্দা করে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেল’ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে অক্টোবরের শেষের দিকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ২৬,২৫৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

গাজার প্রধান দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে বলে জাতিসংঘের সংস্থা ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণের নিন্দা করার পরে ইসরায়েল এবং ইউএনআরডব্লিউএ’র মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটে।

সংস্থাটি বলেছে, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত লোক আশ্রয়কেন্দ্রে নিবন্ধিত হয়েছে এবং বুধবারের ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে ১৩ জন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তবে এটাও বলেছে যে, এটি ‘হামাসের হামলার ফল’ হওয়ার সম্ভাবনা পরীক্ষা করছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এখন হামাসের গাজা প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিজ শহর খান ইউনিসের চারপাশে কেন্দ্রীভূত। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি তার সংঘাত পরিচালনার জন্য ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন, অবরুদ্ধ গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা এএফপিকে বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার জন্য নেতানিয়াহুর অবিচল প্রতিশ্রুতি তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভায় ক্রমবর্ধমানভাবে গাজায় আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সাথে বেমানান হিসাবে দেখা হচ্ছে।

বন্দীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে তার ব্যর্থতার কারণে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, শনিবার রাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।  

জিম্মিদের পোস্টার এবং ব্যানার বহনকারী বিক্ষোভকারীরা শনিবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবে, সেইসাথে উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে জড়ো হয়েছিল।

ইসরায়েল এবং ইউএনআরডব্লিউএ’র বিরোধের মধ্যে শুক্রবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই সংঘাতে গণহত্যার সম্ভাব্য কাজগুলো প্রতিরোধ করতে হবে এবং আরও সাহায্যের অনুমতি দিতে হবে৷

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার এই সিদ্ধান্তে ‘বাধ্যতামূলক প্রভাব’  নিয়ে বৈঠক করবে, যা যুদ্ধবিরতির আহ্বানের অভাবে থেমে গেছে। সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও গতি পেয়েছে।

একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস শীঘ্রই যুদ্ধবিরতির জন্য প্যারিসে তার ইসরায়েলি ও মিশরীয় প্রতিপক্ষের পাশাপাশি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। বাসস