এবারের বিশ্ব কাপকে নিজেদের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে নতুন কিছুটা ভালো পারফর্মেন্স করতে পারলে টুর্নামেন্টটি আরো ভালো হতো বলে জানান তিনি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের মুল পর্বে মাত্র একটি জয় ছিল বাংলাদেশের। সেটিও পেয়েছিল ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টুর্নামেন্টে। তবে এবারের আসরে দুটি ম্যাচে জয়লাভ করেছে টাইগাররা। সুপার টুয়েলভ পর্বে তারা হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে।
এছাড়া ভারতও পাকিস্তানের বিপক্ষেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে টাইগাররা। তারপরও নিজেদের ব্যর্থতার কারণে স্বল্প ব্যবধানে হার মানতে হয়েছে দলটিকে। টুর্নামেন্টে মুশফিকুর রহিম ও মাহমাদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া নবাগতরা সুবিধা করতে পারেনি। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যতীত ব্যাটারদের কেউ খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশ দলের বোলার, বিশেষ করে পোসাররা এই বিশ^কাপে সেরা পারফর্মেন্স দেখিয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আরো কয়েকটি রানের জন্য আফসোস করেছেন সাকিব আল হাসান। তার মতে ৮ উইকেটে ১২৭ রানের পরিবর্তে ১৪৫ থেকে ১৫০ রান করতে পারলেই পাল্টে যেতো দৃশ্যপট। ম্যাচ শেষে টাইগার অল রাউন্ডার বলেন,‘ ম্যাচের এক পর্যায়ে আমরা এক উইকেটে ৭০ রানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানকার পিচ বিবেচনায় আমরা কমপক্ষে ১৪৫ থেকে ১৫০ রান তুলতে চেয়েছিলাম। জানতাম নতুন ব্যাটারদের জন্য কাজটি কঠিন হবে তবে আশা ছিল সেট ব্যাটাররা দলকে শেষ অবদি নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটি হয়নি।
তবে ফলাফল বিবেচনায় টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপে এটি আমাদের সেরা পারফর্মেন্স। আগে এর চেয়ে ভালো পারফর্মেন্স আমরা দেখাতে পারিনি। দলে নবাগতদের অন্তভুক্তি এবং পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশী অর্জিত হয়েছে।’
আজ আম্পায়ারদের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাট হাতে দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫৩ রানের মধ্যেই শেষ ৭টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সাকিব আউট হওয়ায় বাংলাদেশ দল মোমেন্টাম হারিয়েছে। নিজের পারফর্মেন্সেও সন্তুষ্ট নন টাইগার অধিনায়ক। আরো ভালো কিছু করা যেতো বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন,‘ আমি আরো ভালো করতে পারতাম। যতদিন পর্যন্ত আমি ফিট এবং পারফর্ম করতে পারবো ততদিন আমি খেলেতে চাই।’
এদিকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হওয়ার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে তারা। বাবর বলেন,‘ এটি হচ্ছে দলবদ্ধ খেলা। ক্রিকেট হচ্ছে মজার খেলা। সবগুলো ম্যাচে প্রশংসনীয় খেলা উপহার দিয়েছে সতীর্থরা। ব্যাটিংয়ের জন্য আজকের পিচটি মোটেই সহজ ছিল না।
এখানে দুই ধরনের সেহায়ক হয়েছে। আমি এবং রিজওয়ান দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে দুর্ভাগ্য বশত সেটি সম্ভব হয়নি। হারিসের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে ভালো লেগেছে। এখন আমরা সেমি-ফাইনালের অপেক্ষায় আছি। সেমিতে খেলার জন্য দলের সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।’ তথ্য সূত্র বাসস।