News update
  • Let's build a society of love, tolerance, peace and harmony: Tarique Rahman      |     
  • Bangladesh at a Crossroads as 2025 Reshapes the Nation     |     
  • Khaleda Gets Eternal Farewell from Over a Million of Hearts     |     
  • Sea of Mourners Gathers to Pay Tribute to Khaleda Zia     |     

থাইল্যান্ড যাচ্ছে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২ বাংলাদেশের বিজয়ী ৯ শিক্ষার্থী

উৎসব 2022-07-03, 10:32pm

Seeds For the Future SFTF gala event



ঢাকা, ০৩ জুলাই, ২০২২ ঢাকার বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশের শীর্ষ নয় (৯) শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। আয়োজনের পরবর্তী রাউন্ডে অংশ নিতে আগামী মাসে এই বিজয়ীরা থাইল্যান্ড যাবেন এবং এশিয়ার অন্যান্য বিজয়ীদের সাথে যোগ দিবেন।

চলতি বছর এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়। বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় রাউন্ড তথা বাংলাদেশের ফাইনাল রাউন্ডে শীর্ষ নয় (৯) শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। থাইল্যান্ডে এই প্রোগ্রামের পরবর্তী রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং তাদের প্রোজেক্ট আইডিয়া এবং সাবমিশনের মাধ্যমে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন। থাইল্যান্ড রাউন্ডের বিজয়ীরা ‘টেক ফর গুড অ্যাকসেলারেটর ক্যাম্প’-এ অংশ নিতে সিঙ্গাপুর যাবেন। প্রোগ্রাম শেষে চ্যাম্পিয়নরা পাবেন হুয়াওয়ে মেটবুক ল্যাপটপ।          

প্রতিযোগিতার নয়জন বিজয়ী হলেন: বুয়েটের গোলাম মাহমুদ সামদানী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদমিন সুলতানা; রুয়েটের মাদিহা বিনতে জাকির ও মেহরিন তাবাসসুম, আইইউটির ওয়াসিফা রহমান রেশমি ও মো. সুমিত হাসান; চুয়েটের মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাজিব শারার শায়ক ও মোহসিনা তাজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর ইউ লিওয়েন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমাদের স্টেমের বিষয়গুলোতে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে যথাযথ আইসিটি জ্ঞান প্রদান করতে হবে। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। সিডস ফর দ্য ফিউচার আমার কাছে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক বলে মনে হয়। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের শিক্ষার্থীরাও ঠিক এমনটাই মনে করে। এই উদ্যোগের জন্য আমি হুয়াওয়েকে সাধুবাদ জানাই এবং প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া সকল বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই।”

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “আইসিটি খাতের মেধাবীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি উন্নত ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে সবসময় পাশে আছে।”

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, “হুয়াওয়ে তরুণদের শেখার ও অন্যদের শিখতে উৎসাহিত করার চমৎকার সুযোগ তৈরি করছে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা তাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে, যা পরবর্তীতে সমাজ ও দেশের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি চুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল বলেন, “সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামে আমরা অনেকগুলো ধাপে অংশ নিয়েছি। এর মধ্যে ছিলো একটি মেন্টরশিপ স্টেজ, যেখানে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এই প্রোগ্রামটি আমাকে এবং আমার মতো আরও অনেককে আইডিয়াকে একটি কার্যকর পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন শিখতে সাহায্য করেছে এবং আমাদের লক্ষ্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে।”

বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। এই বৈশ্বিক আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের সকল সুবিধা লাভে সাহায্য করছে। ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ হুয়াওয়ের এমনই একটি উদ্যোগ, যা ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে বৈশ্বিকভাবে চালু হয়। এখন পর্যন্ত, এই প্রোগ্রামটি বিশ্বের ১৩৭টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও পাঁচ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) এবং নন-স্টেমে শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এই প্রোগ্রাম, অংশগ্রহণকারীদের শেখার ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে।