News update
  • WHO Says Traditional Medicine Use Surges Worldwide     |     
  • UN Report Calls for New Thinking to Secure a Sustainable Future     |     
  • BNP moves to finalise seat sharing as alliance friction grows     |     
  • BNP plans universal 'Family Card' for all women: Tarique Rahman     |     
  • Tangail saree weaving gets recognition as intangible cultural heritage     |     

ফুসফুস ভালো রাখার ঘরোয়া ১০ উপায়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2025-12-11, 9:09pm

rfewrwerwe-7d954808ccdf9a9f2eeee8a7535f2cb71765465789.jpg




অতিরিক্ত দূষণ থেকে অনেকেই অ্যাজমার সমস্যায় ভোগেন। আমাদের দেহে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে সাহায্য করে ফুসফুস। নানা ভাইরাসের কবলে পড়লে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আপনার ফুসফুস। তাই ফুসফুসকে ভালো ও সতেজ রাখতে এখনই দরকার সতর্কতা।

কীভাবে ফুসফুস ভালো ও পরিষ্কার রাখা যায় তা নিচে তুলে ধরা হলো।

১. কাজু, আখরোট, পেস্তা, চিনাবাদামসহ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে। সেই-সঙ্গে খনিজ লবণ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসব খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

২. মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ও প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে তা হবে ফুসফুসের জন্য উপকারী।

 ৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধে বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে ভিটামিন ডি’র অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এর মূল উৎস সূর্য। এ ছাড়া দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে। 

৪. তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফুসফুস সুরক্ষায় খুবই কার্যকর। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী। তাই শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর করতে তুলসীপাতার রস কিংবা এই পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করুন। ফুসফুস ভালো থাকবে।

৫. ফুসফুস ভালো রাখতে কালোজিরা অনেক ভালো কাজ করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আধা চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।

৬. ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করে এই ভিটামিন। শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালির জীবাণু ধ্বংস করে। লেবু, আমলকি, কমলা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

৭. রসুনে রয়েছে প্রচুর সেলিনিয়াম ও অ্যালিসিন। এ দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ফুসফুস ও শ্বাসনালি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ রোধে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে।

৮. শারীরিক কসরতের বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে ভালো রাখবে। এ জন্য এরোবিক্স, ইয়োগা বা কার্ডিও এক্সারসাইজ প্রতিদিন করতে হবে।

৯. গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ফ্ল্যাবিনয়েড নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফুসফুসের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করে। সে সঙ্গে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

১০. হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কারকিউমিন ফুসফুসকে দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে সুরক্ষা করে। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে কাঁচা হলুদের রস করে মাখন বা ঘির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়।