হলিউডের অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটকে সিনেমার চরিত্রের প্রয়োজনে রীতিমত চাপে রাখা হয়েছিল। এই চাপ তার দৈনন্দিন জীবনধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল। কেটের ফিগার ঠিক রাখাসহ তার বাঁচনভঙ্গি ও খাওয়া-দাওয়া সবমিলিয়ে তাকে একটি মোড়কে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল।
‘টাইটানিক’ ছবির শুটিংয়ের আগে ও শুটিং চলাকালীন তাকে এমন অবস্থায় থাকতে হয়েছিল যে, সেই সময়টাতে অতি কষ্টের সঙ্গে অতিবাহিত করেছেন বলে তিনি সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ছবি মুক্তির এত বছর পর এসে তার এই ছবির শুটিংয়ের গোপন বিষয় ফাঁস করে দেওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কেট বলেন, আমি তখন ছোট ছিলাম। অভিনয় কিংবা অনেক কিছুই আমি জানতাম না। আমাকে সবকিছু হাতে কলমে শেখানোর জন্য এই ধরণের রীতিমত টর্চারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর আমার নাম ডাক অনেক ছড়িয়ে পড়েছিল। আমার আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ভুলে গিয়েছিলাম শুটিংকালীন কি পরিমাণ কষ্টের শিকার হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, বিষয়টি এমন না যে, কারো কাছ থেকে যৌন হয়রানি কিংবা মারধরের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু নিজেকে, নিজের বডিকে ঠিক রাখার জন্য আমি যেন একটা যুদ্ধের মধ্যে ছিলাম। আসলে ছোট ছিলাম তো সেজন্য আমার কাছে বিষয়টি অনেক কষ্টকর ছিল। এখন যখন ভাবি গা শিউরে উঠে কিন্তু এটা ঠিক যদি সেদিন সেই কষ্টের শিকার না হতাম তাহলে আজ আমি এই পজিশনে আসতে পারতাম না।
টাইটানিক তারকা বলেন, আমার চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল ‘টাইটানিক’ ছবির শুটিংয়ের অন্তত ৩ মাস আগে থেকে। আমার যেন একফোটা মেদ না বাড়ে সেদিকে খাবার বিশেষষজ্ঞরা কঠিন নজর রাখতো। আমার আসলে সেই সময়টাতে অসহ্যই মনে হতো। যদিও এখন আমি অনেক পরিণত। এখন আমি সব ধরণের কষ্ট সইতে পারি।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট অভিনীত ‘টাইটানিক ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে। সবশেষ কেট অভিনীত ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ ছবিটি চলতি বছর মুক্তি পেয়েছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।