গাজায় তীব্র স্থল আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার সেনা, যা ইসরাইলের গোটা ‘স্থায়ী’ বা ‘পেশাদার’ (রিজার্ভ ফোর্স থেকে আলাদা) সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, গাজায় নিজেদের সব সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক যানবাহন মোতায়েন করেছে ইসরাইল।
ওই প্রতিবেদন মতে, গাজায় ইসরাইলের গোলানি, প্যারাট্রুপারস, গিভাতি, কমান্ডো, কেফির, নাহাল, ৭ম, ১৮৮তম এবং ৪০১তম ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলিদের নিয়ে সবশেষ এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
শুক্রবার (২৩ মে) ইসরাইলে সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এ সম্প্রচারিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ইসরাইলি মনে করেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধে জয়লাভ বা জিম্মিদের মুক্ত করার চেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে বেশি আগ্রহী।
নেতানিয়াহুর প্রধান লক্ষ্য কী বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৫ শতাংশ ইসরাইলি বলেছেন ক্ষমতায় থাকা, ৩৬ শতাংশ বলেছেন জিম্মিদের ফেরত নেয়া আর ৯ শতাংশ বলেছেন তারা নিশ্চিত নন।
হামাসের কাছে আটক বাকি জিম্মিদের ফেরত আনতে আরেকটি চুক্তি কেন হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা এটাকে রাজনৈতিক কারণ বলেছেন, ৩৮ শতাংশ বলেছেন যৌক্তিক কারণেই এটা হয়নি। আর ৯ শতাংশ বলেছেন কেন চুক্তি হলো না তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু তার সংবাদ সম্মেলনে জনগণকে গাজা যুদ্ধের যৌক্তিকতা নিয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে, ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তিনি তা করতে পারেননি, ৩৪ শতাংশ বলেছেন নেতানিয়াহু বোঝাতে পেরেছেন। আর ৪ শতাংশ বলেছেন তারা নিশ্চিত নন।সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল