ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত জোট জি-৭। এই আবেদন এমন একসময়ে এসেছে যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
জি-৭ এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা চাই উভয় দেশই একে অপরের সাথে কথা বলুক এবং উত্তেজনা বাড়ানোর পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যাক।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরুর জন্য মার্কিন সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ ছাড়া শনিবার (১০ মে) বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধের পরিসর না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে গত চার দিনের সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে চীন এই আহ্বান জানাল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার, শান্ত ও সংযত থাকার, শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমাধানের পথে ফিরে আসার এবং উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এরজন্য পাকিস্তানের ওপর দায় চাপিয়েছে ভারত। তবে তা নাকচ করে পাকিস্তান। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। ওই রাতেই ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান। এ ছাড়া প্রতিদিনই চলে দুদেশের সীমান্তে গোলাগুলি। এরপর আজ শনিবার (১০ মে) ভোরে ভারতে সামরিক হামলা ‘বুনিয়ান মারসুস’ চালায় পাকিস্তান।