News update
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     
  • The Taliban Took Everything – Even My Hope     |     

এক রাতেই ভারত হারিয়েছে পাঁচ যুদ্ধবিমান, দাবি পাকিস্তানের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-07, 10:08am

rtwerwerqweq-81a57acb41246454ef641ef553fd244e1746590905.jpg




পাকিস্তানের বেশ কয়েক জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।  

বুধবার (৭ মে) প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, পাকিস্তান তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে এবং ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের তীব্র ও নির্ভুল জবাব দিয়েছে। পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করছে।

তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সামা টিভির অনলাইনে দাবি করা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিনটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সামা টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্টের কাছাকাছি সীমান্তের ভারতীয় অংশে একটি রাফায়েল এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্টিপোরার দক্ষিণ-পশ্চিমে আরও একটি রাফায়েল ভূপাতিত হয়েছে এবং পাকিস্তানের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, ভারতের কিছু কিছু গণমাধ্যমেও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করা হচ্ছে। যদিও তা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন। তবে বিমান ভূপাতিতের দাবি-পাল্টা দাবির বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি।

এর আগে, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মুর কিছু অংশে পাকিস্তানি বাহিনী গোলাগুলি শুরু করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। 

বুধবার রাত পৌনে তিনটায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, জম্মুর পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বার গলিতে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করে আবারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ভারতের সেনাবাহিনী ধাপে ধাপে এর যথাযথ জবাব দিচ্ছে। 

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গুলিতে দুই নারী আহত হয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর। 

অন্যদিকে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ধুনদিয়াল সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভারতের এই হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে।  

বুধবার প্রথম প্রহরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

শাহবাজ শরিফ বলেন, শত্রুকে কখনোই তার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি জাতির মনোবল দৃঢ়।  

এর আগে, বুধবার প্রথম প্রহরে ভারতের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের দুই বিমান ভূপাতিত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। 

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বরাত দিয়ে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।  

দেশটির সরকারি টিভি পিটিভি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ভারতে পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে জানান, ভারত বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। এ কাপুরুষরা (ভারতীয়রা) তাদের নিজেদের আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়েছে। তারা তাদের বাড়ি কখনও ছাড়েনি। তাদের বের হতে দিন। আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।

এ হামলায় এক শিশু কমপক্ষে ৩ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে। তবে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।

রাত ১টার দিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে ভারতের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে বাহওয়ালপুরের আহমেদ পূর্ব এলাকার সুবহানুল্লাহ মসজিদ, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদে আকাশপথ থেকে তিনটি স্থানে ‘কাপুরুষোচিত’ বিমান হামলা চালিয়েছে শত্রু ভারত।

ভারত নিজেদের আকাশ থেকে হামলা করে জানিয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক বলেন, আমাদের বিমানবাহিনীর সব বিমানই আকাশপথে উড়ছে। এই কাপুরুষোচিত এবং লজ্জাজনক হামলাটি ভারতের আকাশসীমার ভেতর থেকে করা হয়েছে। তাদেরকে পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।  

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের পাহাড়ি অঞ্চলের কাছে একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দাবি, ভারত এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বেসামরিক এবং নিরস্ত্র নাগরিকদেরই লক্ষ্যবস্তু করেছে। যেকোনো মূল্যে নিরীহ পাকিস্তানিদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ভারত সরকারের দেওয়া বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। তবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে নিশানা করা হয়নি। তবে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে। যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯টি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে। 

এ ছাড়া হামলার পরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছে। এতে লিখেছে, ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জয় হিন্দ। 

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২৬ পর্যটক নিহত হয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল উভয় দেশের মধ্যে। এই হামলার জেরে বেশ কিছু চুক্তিও বাতিল করেছে ভারত ও পাকিস্তান। অবশেষে পেহেলগামে হামলার জেরে দুই সপ্তাহের বেশি পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত।আরটিভি