News update
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     
  • Khulna’s ‘white gold’ shrimp eyes Tk 22,600cr export goal     |     

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

সংঘাত 2024-02-21, 2:55pm

efwwewtwrtwt-1cfffa4b605f59341bc1605239e557eb1708505764.jpg




ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে ওই খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়।

ওয়াশিংটন বলছে, আলজেরিয়া প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

তবে এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জানিয়েছে অনেকেই। মার্কিন মিত্ররা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হোয়াইট হাউজের ভেটো দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব রেজ্যুলেশনে রাফাহ শহরে আগ্রাসন না করার জন্য এর আগে ইসরায়েলকে সতর্কও করেছিলো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘের যুদ্ধের বিষয়ে ভোটের সময় ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি এড়িয়ে গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক এই ইস্যুতে প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টিই আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল আরেক স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য।

নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পাঁচটি। এর মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর এককভাবে কোনও প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে তা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে নতুন খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর অর্থ হলো প্রস্তাবটি গৃহীত হবে না।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া রেজুলেশনে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। যেখানে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর বাধাগুলো তুলে নেয়ার আহবান জানানো হয়।

তবে, ওয়াশিংটনের এই প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দিবে কি না সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

আলজেরিয়ার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ার পর জাতিসংঘে উত্তর আফ্রিকা দেশগুলোর প্রতিনিধি বলেছিলেন, “এটি ফিলিস্তিনিদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে” এবং এই সাক্ষ্য দেবে, “দুর্ভাগ্যবশত নিরাপত্তা পরিষদ আবারো ব্যর্থ হয়েছে”।

“নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, ইতিহাস আপনাকে কীভাবে বিচার করবে”, বলছিলেন অমর বেন্দজামা।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর বলেছেন, “মার্কিন ভেটো ছিল একদম বেপরোয়া ও বিপজ্জনক”।

ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও এর সমালোচনা করেছেন। ফ্রান্সের প্রতিনিধি নিকোলাস ডি. রিভেরি গাজার এমন দুদর্শাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে প্রস্তাবটি পাশ না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ওপর এমন কোন চাপ নেই যা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারবে।”

ইসরায়েল নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো রেজুলেশন মেনে চলতে বাধ্য, কারণ এগুলো আইনত বাধ্যতামূলক। এটিই সাধারণ পরিষদ থেকে নিরাপত্তা পরিষদের মূল পার্থক্যের জায়গা।

তবে, যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিলেও, এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত ফ্রাঙ্ক লোয়েনস্টাইন এই পদক্ষেপকে আমেরিকান নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বিবিসি ওয়ার্ড সার্ভিসকে বলেছেন, “আমার মতে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। তারা মানবিক সহায়তা ও বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আমাদেরকে ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষা করছে এবং এখন তারা এই রাফাহ আক্রমণের পন্থা খুঁজছে। আমরা তীব্রভাবে এটির বিরুদ্ধে বলে আসছি।”

মি. লোয়েনস্টাইন আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে আমেরিকানদের চাপের মধ্যে রয়েছেন।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমেরিকান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ইসরায়েল সরকারের জন্য একটি সমস্যা হতে চলেছে।”

বিবিসি নিউজ আওয়ারকে মাইকেল ওরেন বলেন, “জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার সাথে যুক্ত যে কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হামাসকে অনেক সুবিধা প্রদান করবে।”

মার্কিন খসড়া যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাফায় একটি বড় স্থল আক্রমণ হলে বেসামরিক নাগরিকদের আরও ক্ষতি হবে এবং তারা আরও বাস্তুচ্যুত হবে। এই ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে।

গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে রাফাহ শহরে। মিশর সীমান্তবর্তী এই শহরে এর আগে বাস করতো মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে অনেকেই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বা তাঁবুতে বসবাস করছে। আশ্রয় শিবিরের ভয়াবহ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলার পর জাতিসংঘ সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আগে শুধুমাত্র হামাস সেনাদের টার্গেট করলেও এখন বিমান হামলায় নারী ও শিশুরা নিহত হচ্ছে।

গত সাতই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের বন্দুকধারীদের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান শুরু করে। হামাসের হামলায় ১২’শ ব্যক্তি নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে।

পরবর্তীতে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ২৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবিসি নিউজ