ইরান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে শনিবার জোর দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। শাসকগোষ্ঠীর নৈতিকতা পুলিশের জিম্মায় মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর জেরে এই বিক্ষোভ চলছে।
তার মৃত্যুর পরের এক সপ্তাহে বিক্ষোভ ইরানের অন্তত ১৩৩টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৪১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে, রাষ্ট্রীয় টিভি শনিবার ইঙ্গিত করে।
সামাজিক মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির নিজ শহর মাশহাদ-এ, শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা তার একটি ভাস্কর্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। সে সময়ে তারা খামেনি ও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।
রাইসি কয়েকদিন আগে নিউইয়র্কে তার জাতিসংঘ সফর থেকে দেশে ফিরে যান। ইরানের গণমাধ্যম জানায় যে, তিনি বিক্ষোভে নিহত শাসকগোষ্ঠীর এক সমর্থকের পরিবারকে বলেছেন যে, “বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরকারকে অবশ্যই দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে”।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, রাইসি “বিক্ষোভ এবং জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নের মধ্যে পার্থক্য করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন, এবং ঘটনাগুলিকে … একটি দাঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।”
২০১৯ সালের পর থেকে এটিই ইরানের বৃহত্তম বিক্ষোভ। সে সময়ে জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইরানের মানুষজন রাস্তায় নেমেছিলেন। সেবারকার দমনপীড়নে অন্তত ১,৫০০ জন মানুষ নিহত হয়েছিল।
চলমান বিক্ষোভের একটি কেন্দ্রস্থল হল গিলান প্রদেশ। প্রদেশটির পুলিশ প্রধান, জেনারেল আজিজোল্লাহ মালেকি সরকারি গণমাধ্যমকে বলেন যে, তার প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী “ভেঙে পড়ার দোরগোড়ায় রয়েছে”। বিক্ষোভ করার কারণে গিলানে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আজনাহেভ নামের কুর্দি প্রধান শহরটিতে, নিরাপত্তা বাহিনী বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীর সামনে পিছু হটলে বিক্ষোভকারীরা সেখানকার বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানা যায়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।