News update
  • Gold price goes up again in Bangladesh     |     
  • Suicide bomber targets Islamabad court, killing 12 people, wounding 27     |     
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     

এক যুগে সড়কে ঝরেছে ১ লাখ ১৭ হাজার প্রাণ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-10-22, 6:11am

road_accidnet-21dd13d785291e12140e8416d4baa38d1761091862.jpg




দেশে গত ১২ বছরে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

দুর্নীতি ও সরকারের ভুল নীতি সড়কে গণহত্যার জন্য দায়ী উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। এসময় ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, লাইসেন্সবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক নিয়োগ, সড়কে ত্রুটি, চালকদের মাদক নেওয়া, বেপরোয়া গতি, অযোগ্য চালকদের লাইসেন্স দেওয়া এবং লাইসেন্সবিহীন ও প্রশিক্ষণহীন চালকদের হাতে যানবাহন তুলে দেওয়া হয়।

যাত্রী কল্যাণের মহাসচিব জানান, এ কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ২০১৪ সাল থেকে অন্তবর্তী সরকারের ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিগত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত ও এক লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতি শুধু গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য পেলেও দেশের হাসপাতালগুলোর চিত্র বলছে হতাহতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। সাম্প্রতিক বছরের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার। এসব যুদ্ধে যে পরিমাণ লোক মারা গেছে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

মোজাম্মেল হক জানান, ওবায়দুল কাদের এক যুগের বেশি সময় ধরে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী থাকলেও এ খাতে বিশৃঙ্খলা থামাতে তার কৌশলগত পরিকল্পনায় চরমভাবে গলদ ছিল। এ কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি চরমভাবে বেড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পরও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের নীতি ও কৌশল পরিবর্তন না হওয়ায় দুর্ঘটনার লাঘাম টানা যাচ্ছে না। ফলে সড়কে গণহত্যা বন্ধ, যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে এ খাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিবহন খাত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

অটোরিকশার কারণে ঢাকা অচল হয়ে যাবে জানিয়ে যাত্রী কল্যাণের মহাসচিব বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উন্নত গণপরিবহণ নামানোর পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়ে রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় অজ্ঞতা, অনভিজ্ঞতা ও নানাবিধ গলদ থাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলে এক বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অটোরিকশার কারণে অচল হয়ে যাবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত থেকে ফেরত এসে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে ম্যাস ট্রানজিটের (পাতাল মেট্রোরেল) ব্যবস্থা করতে হবে।

তার পরামর্শ হলো, সেখানে সরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল লেনদেনের ভিত্তিতে কমপক্ষে দুটি বাস র্যা পিড ট্রানজিট লেন চালু করলে উন্নত দেশের আদলে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরত আসবে। যাতায়াতের গতি বাড়বে। সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমবে। মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে। দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। সেটা না হলে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হাতের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি মিলবে না।