News update
  • Extra SIMs beyond 10 being deactivated from Saturday     |     
  • China's Xi promises to protect free trade at APEC as Trump snubs summit     |     
  • UN Probes Iran Crackdown, Alarms Over Spike in Executions     |     
  • UN Aid Push Continues Across Gaza Despite Airstrike Threats     |     
  • Hurricane Melissa displaces thousands across Caribbean     |     

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে আইনের মুখোমুখি করতে ভারতকে আহ্বান মির্জা ফখরুলের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-11-01, 5:03pm

img_20251101_170031-08d7c4eaa623c89a618129710e5495511761995004.jpg




সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে আইনের মুখোমুখি করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক সমাবেশে ভারতকে এ আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ভারতকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন। 

তিনি বলেন, কিছু শক্তি এমনভাবে কাজ করছে যারা ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়। তারা শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চায়। অথচ আমরা ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি—একদিন নয়, টানা ১৫ বছর আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করার জন্য, শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সংগ্রাম করেছিলেন, আমরাও তেমন সংগ্রাম করেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই অবস্থার মধ্যে যুদ্ধ করেছি, সংগ্রাম করেছি। আমাদের ইলিয়াস ভাইসহ ১৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে, ২০০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিবাদী দানবীয় রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিল। আমরা সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছি।

বিএনপি বিভক্তি আনতে চায় না জানিয়ে এরপর ফখরুল বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু কিছু শক্তি, কিছু কিছু মানুষ এখন বিভক্তি আনতে চায়। যারা ১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই—তারা ১৯৭১ সালকে অস্বীকার করতে চায়। আর আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কারণ ১৯৭১-ই আমাদের জন্মের ঠিকানা, আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও স্বাতন্ত্র্যের কথা। সেদিন স্বাধীনতার যে ঘোষণা হয়েছিল, সেটিই আমাদের নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা ছিল।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই একই শক্তির পুনরুত্থান। একবার অতীত স্মরণ করুন। আমি কারো নাম ধরে বলবো না, কিন্তু আপনারা নিজের অতীত মনে রাখুন—১৯৭১ সালে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও স্মরণ করুন। স্পষ্ট করে বলতে চাই—সেদিন আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। কিছু দুষ্কৃতিকারীর অভ্যুত্থান বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছিলেন। যারা আমাদের হত্যা করছিল, তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দেশের মানুষকে হত্যা করেছিলেন। আমাদের জ্ঞানী-গুণী মানুষদের হত্যা করে বধ্যভূমিতে ফেলে দিয়েছিলেন। আমরা এগুলো ভুলিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের পর সভা করে বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই। যে অপশক্তিগুলো এখন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, কারণ নির্বাচন হলে তারা সুযোগ পেত না।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ‘নোট অফ ডিসেন্টের’ কথা বাদ দিয়ে তারা নতুন করে কিছু ভিন্নও প্রস্তাব সামনে এনেছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। তারপরও আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স করেছি। আমরা রাস্তায় যাইনি, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করিনি, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে আন্দোলন করছে, সরকারকে চাপ দিচ্ছে যেন তাদের কথাই যেন মানা হয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবে—এটি ঘোষণা হয়েছে। গণভোটের প্রসঙ্গে আমরা রাজি হয়েছি। আলাদা করে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমরা বলেছি নির্বাচনের দিনই গণভোট করা হোক, এতে খরচ কমবে। কারণ আলাদা গণভোটে প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। তাই নির্বাচনের ব্যালটে দুটি বিষয় থাকবে—একটি সংসদ নির্বাচন, অন্যটি গণভোট। এটা ছিল একটি যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, কিছু মানুষ জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। পর দাবি নিয়ে যারা এসেছে, সেটি আলোচনায়ই ছিল না। আজ তারা জোট বেঁধে রাস্তায় আন্দোলন করছে, সরকারকে হুমকি দিচ্ছে—‘আজই হতে হবে, না হলে নির্বাচন হতে দেব না।’ এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করা। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন—‘যে কোনো সময় হামলা হতে পারে’। কিন্তু তিনি বলেননি, হামলা কোথায় থেকে আসবে বা কারা করবে। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেকে।