News update
  • Gold price goes up again in Bangladesh     |     
  • Suicide bomber targets Islamabad court, killing 12 people, wounding 27     |     
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     

ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-02-22, 9:19am

123-2301271702-5af8176e37178c0163fe07b4f2b0a8941708572151.jpg




নিত্যদিনের খরচ চালাতেই হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতিন চাপে চ্যাপটা জীবন। এর মধ্যেইআসছে দুঃসংবাদ। বছর না ঘুরতেই গ্রাহক পর্যায়ে ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এবার বাড়তে পারে ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হতে পারে। পিডিবি সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণেই বিদ্যুতের দর বাড়ছে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে আবাসিকে গ্যাসের দাম। তবে নির্দিষ্ট সময় পরপর ডিজেল-পেট্রোলের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম বাড়ানোর পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ আরও চাপে পড়বে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ভর্তুকিমুক্ত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে। এ পটভূমিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম সমন্বয় পদ্ধতি চালু হচ্ছে। কেননা আগামী তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে পুরো বেরিয়ে আসতে চাইছে সরকার ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্র বলছে, ভর্তুকি তুলে দিলে বিদ্যুতের দাম ৭৮ শতাংশ বাড়তে পারে। সংস্থাটির সুপারিশ, ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে জনগণের জন্য সহনীয় হবে। ফলে চলতি বছর কয়েক ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পিডিবির ভর্তুকির প্রয়োজন ছিল ৩৯৫৩৫ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৯৪২ মেগাওয়াট। সে সময় বিদ্যুতের খুচরা দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। গেল ১৫ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ১৭৪ মেগাওয়াট। উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে বিদ্যুতে আমদানি করা জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাড়ে জ্বালানির দাম। ফলে বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ ও গ্রাহক পর্যায়ে দাম। প্রতি ইউনিটের খুচরা দাম হয়েছে ৮.২৫ পয়সা।

২০১০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ১২ বার বেড়েছে। শুধু ২০২৩ সালেই তিন দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্বাহী আদেশে বাড়ে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর দাম ৫ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ডলারের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে যে জ্বালানির দাম সহনীয় থাকলেও লোকসান হচ্ছে। সেজন্য দাম সমন্বয় করা হচ্ছে, যা মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মানুষের জীবনের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাদের দাম বাড়ানো হবে, যাতে যাদের সক্ষমতা কম তারা ভর্তুকি দরে বিদ্যুৎ পায়।

তবে বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমে যাবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি কমিয়ে, লোড ব্যবস্থাপনা করে এবং ক্যাপাসিটি চার্জের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধান করলেই বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসে। গ্রাহকের ওপর তা চাপাতে হয় না।

সূত্র জানায়, ২০০ ইউনিটের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের দাম বাড়তে পারে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খুচরা দাম ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ইউনিট ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিট ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা। সেচে ৪ টাকা ৮২ পয়সা এবং শিল্পে লোড অনুসারে নির্ধারিত রয়েছে ৮ টাকা থেকে ১৩ টাকা। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।