News update
  • EU’s Ocean Leadership Faces Test as Treaty Clock Ticks     |     
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     

দুই পাইলটের লাইসেন্স বাতিল, নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

গ্রীণওয়াচ ডেক্স বিবিধ 2023-11-29, 3:56pm

image-249827-1701245745-644e02d082ae6c6db7e40e5593e4d9701701251785.jpg




সনদ জালিয়াতির অভিযোগে পাইলট সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলামের লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। একই সঙ্গে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।

বেসামরিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি শিক্ষাসনদ, নিবন্ধনসনদ, লাইসেন্স বা পারমিট জাল কিংবা পরিবর্তন করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহলে অনধিক ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলাম বেবিচকে চাকরি করতেন না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত ছাড়া তো কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আগে কখনো নেওয়া হয়নি। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন জালিয়াতির সাহস না পায়।

জানা গেছে, বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তিতে আটজন ক্যাপ্টেন ও ছয়জন ফার্স্ট অফিসার নিয়োগ করতে ২০২১ সালে ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সেখানে প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে নির্বাচন করা হয়, যাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাদের মধ্যে দুজন হচ্ছেন সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলাম।

অভিযোগ ওঠে, সেই সময় ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নির্বাচিত আল মেহেদী ইসলাম। সে সময় তিনি এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্সের (এটিপিএল) জাল সনদ জমা দিয়েছেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে তিনি এই সার্টিফিকেট জমা দেন।

অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগে না পড়েও জাল শিক্ষা সনদ জমা দিয়ে নির্বাচিত হন সাদিয়া আহমেদ। তিনি বিমানের সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। তার চাকরি জীবন শুরু হয় জিএমজি এয়ারলাইন্সের একজন ক্যাবিন ক্রু হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলায় ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেলেও বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি, দুর্ঘটনা ও অদক্ষতার কারণে চাকরি হারাতে হয়।

সূত্র জানায়, সাদিয়া আহমেদ বিমানে যে সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন সেটি অনুযায়ী তিনি ২০০১ সালে আনোয়ার গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার রোল নম্বর ৩০০১০৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯৯৯৫৯১। শিক্ষা বোর্ডে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। অথচ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, পাইলট হতে গেলে পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতসহ এইচএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হবে।

স্বামীর প্রভাবে সাদিয়া আহমেদ বিমানে নিয়োগ পান। বিমানের চুক্তিতে বলা হয়েছে, তার মূল বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া হিসেবে পাবেন ৮৫ হাজার টাকা। যদিও পরে জালিয়াতি ধরা পড়লে চুক্তি বাতিল করে দায় এড়ান তৎকালীন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সোচ্চার ছিলেন বিমানের পাইলটরাও। বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ২০২২ আগস্টে লিখিতভাবে বিমানে পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করে। বাপাও বলেছে, বিমানের কর্মকর্তাদের স্বজনরা নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলাম দুজনই পলাতক আছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।