
অবৈধ মোবাইল ফোন আমদানি রোধে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম চালুর ঘোষণার পর দেশে ব্যবহৃত অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত কারো কোনো মোবাইল সেট বন্ধ হবে না।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান এবং জনগণকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
দেশে বর্তমানে ব্যবহৃত কোনো মোবাইল ফোন বন্ধ হবে না জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্টভাবে জানাতে চাই: বর্তমানে যে মোবাইল ফোন আপনি ব্যবহার করছেন–সেটি বৈধভাবে কেনা হোক, অবৈধভাবে কেনা হোক বা বিদেশ থেকে আনা হোক–কোনোটিই বন্ধ হবে না। আপনার ব্যবহৃত চলমান হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাবে–এমন আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল।’
তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, এনইআইআর সিস্টেমের প্রভাব কেবল নতুন আমদানি করা অবৈধ ফোনের ওপরই পড়বে।
বিশেষ সহকারী বলেন, ‘শুধু ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ আমদানিকারকদের মাধ্যমে দেশেই চোরাপথে আনা নতুন হ্যান্ডসেটগুলো বাংলাদেশে নেটওয়ার্কে কাজ করবে না। এর বাইরে সাধারণ ব্যবহারকারীর কোনো ফোন বন্ধ হবে না।’
ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কেনা হ্যান্ডসেটটি বৈধ বা অবৈধ কি না, তার যাচাই আপনি শোরুম থেকে জাস্ট একটি এসএমএসের মাধ্যমে করতে পারবেন। আরেকটি বিষয়: যে কেউ বিদেশ ভ্রমণে নিজের ব্যবহারের ফোনের বাইরে একটি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, মোবাইল নেটওয়ার্কে অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রবেশ রোধ, ফোন ক্লোনিং ও চুরি ঠেকাতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।