News update
  • Political parties who signed 'Historic July Charter'     |     
  • যা আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়       |     
  • Climate Crisis Fuels Hunger, Migration, and Global Instability     |     
  • Trump, Putin to Meet in Budapest After ‘Productive’ Call     |     
  • Dhaka stocks end week flat; Chattogram extends losses     |     

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যে পাকিস্তানের বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-10-17, 7:09pm

img_20251017_190706-58e72f6c189f8355d19b3f03c789cf4a1760706569.jpg




বাংলাদেশকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য করাচি বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলে মনে করছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) পরিচালিত বন্দর ব্যবহার করলে একটি বিকল্প সমুদ্র রুট উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক সংযোগ শক্তিশালী হবে।

ঢাকায় আগামী ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রায় দুই দশকের মধ্যে এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে প্রথম জেইসি বৈঠক।

জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ও পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের পিএনসিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হবে এই সভায়। 

এ বিষয়ে অবগত কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের এই প্রস্তাবটি আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। চীন থেকে পণ্য এনে করাচির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো বা বাংলাদেশ থেকে চীনে পাঠানো আরও সহজ হতে পারে। 

পাকিস্তান দুই দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে একটি এমওইউ স্মারকের মাধ্যমে সহযোগিতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে আগ্রহী। এই এমওইউ সই হলে দুই প্রতিষ্ঠান সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যুক্ত হতে পারবে। এতে সরাসরি জাহাজ চলাচল আরও সুসংহত ও নিয়মিত হবে এবং তৃতীয় দেশের বন্দরের ওপর নির্ভরতা কমবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি প্রথম কার্গো জাহাজ এসে পৌঁছায়। এটি ছিল পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ। এই ঘটনার পর পাকিস্তান সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করে।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, জাহাজ চলাচল ও বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রায় ১৫ বছরের রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে আসা দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনুকূলে, যা বাণিজ্য বৃদ্ধির পথ সুগম করছে। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি। যদিও বাংলাদেশও দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি, তবুও পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনও সীমিত। 

বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঘরে হলেও বাংলাদেশের রপ্তানি নগণ্য। এই পরিস্থিতিতে করাচি বন্দরের সঙ্গে সরাসরি শিপিং লাইন চালু করা বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক হবে। বিশেষভাবে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, লেদার ও ফুটওয়্যার, এগ্রো-প্রসেসিং পণ্য এবং আইটি ও ডিজিটাল সেবা পাকিস্তানের বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

মাসরুর রিয়াজ বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভিসা ও বিমান সংযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় পর্যটন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগও বাড়বে। এর ফলে দুই দেশের জনগণের এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, করাচি বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের সরাসরি রপ্তানি চালু করলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য বাজারে প্রবেশের সুযোগও তৈরি হবে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হলে খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার বড় অর্থনৈতিক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বাজার বহুমুখীকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। করাচি বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণের সঙ্গে ব্যবসা ও টুরিজমও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।