News update
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     
  • India willing to work together inspired by shared sacrifices of past     |     

ট্রাম্প-চীন শুল্ক যুদ্ধ : যুক্তরাষ্ট্রের কী লাভ-ক্ষতি হতে পারে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-04-11, 6:48pm

rtrerwerwe-708339261f6e66dd87a419a059cb6d041744375699.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একসঙ্গে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের আকস্মিক সিদ্ধান্তে শেয়ারবাজারের পতন ঘটেছে। তবে তিনি চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ বহাল রেখেছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এতে উভয় দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ তীব্র হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধে যেসব ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হতে পারে-

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারে এবং পণ্য উৎপাদন খাতকে বিদেশ থেকে দেশটিতে ফিরিয়ে নিতে পারে। ট্রাম্প আরও বলেছেন, তারা ভবিষ্যতে কর কমানোর পথ প্রশস্ত করবেন।

১৯৭৯ সালে প্রায় দুই কোটি মার্কিন নাগরিক পণ্য উৎপাদন থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন, যা আজ নেমে এসেছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোটরযান, উড়োজাহাজ ও ইস্পাতের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক দেশ ছিল।

অর্থনৈতিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিইপিআইআইয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান ভিনসেন্ট ভিকার্ড বলেন, ‘তারপর থেকে বিদেশি প্রতিযোগিতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কর্মসংস্থান হ্রাস পায়।’

যদিও ট্রাম্প ঠিক কী চান তা বলা কঠিন, তবে ভিকার্ড বলেন, তার শুল্ক পরিকল্পনার একটি অংশ হলো আয়কর কমাতে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং শিল্পকে চাঙা করা।

ভিকার্ড উল্লেখ করেন, ‘কিছু শিল্প যেমন গাড়ি ও ইস্পাত; বিদেশি প্রতিযোগিতা কমলে উপকৃত হতে পারে। তবে, দেশটিকে (তাদের নিজস্ব উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত) পণ্যের আমদানিতে উচ্চমূল্যের মুখোমুখি হতে হবে।’ 

ভিকার্ড আরও বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকটি শিল্পে বিনিয়োগ হতে পারে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে ভোক্তাদের ওপর শুল্কের প্রভাব উচ্চমূল্যে গিয়ে ঠেকবে।’

কোন কোন উপায়ে উচ্চ শুল্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করবে?

ট্রাম্প আশা করছেন, তার শুল্ক ব্যবস্থা চীনের ব্যাপক বাণিজ্য সম্প্রসারণকে হ্রাস করবে। তাদের দৃঢ় প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হয় বেইজিং। তবে ফিচ রেটিং এজেন্সির প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান কুলটনের মতে, চীনের শিল্প আধিপত্যকে হটানো সহজ হবে না।

ব্রায়ান কুলটন বলেন, ‘সাম্প্রতিক দশকগুলোতে চীন (তার মূল উৎপাদন খাত ঘিরে) একটি চমকপ্রদ সরবরাহ ও অবকাঠামো নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এগুলো অত্যন্ত উৎপাদনশীল।’

ব্রায়ান কুলটন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টার মজুরি প্রায় ৩০ ডলার, যেখানে চীনে এটি প্রায় ১২ ডলার। অর্থাৎ, শ্রম খরচ অনেক কম।

কুলটন বলেন, মার্কিন ‘ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল’ পণ্য নির্মাতা কোম্পানিগুলো, ট্রাম্পের সর্বশেষ আরোপিত শুল্কের ঝুঁকিতে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপল উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

কুলটন আরও বলেন, এ শিল্পগুলো চীন থেকে তাদের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে পণ্য আমদানি করে। সুতরাং প্রশ্ন হলো, তারা কি কম লাভে উচ্চ খরচের পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেবে?

কুলটনের মতে, উচ্চ শুল্কারোপে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের ওপর চাপ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তিনি আশঙ্কা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি এ বছর ৪ শতাংশের বেশি হবে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধীর হবে।

মার্কিন-চীন বিজনেস কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বাণিজ্য যুদ্ধের সময় ২ লাখ ৪৫ হাজার মার্কিন নাগরিক চাকরি হারিয়েছিল। যেহেতু এবার শুল্কের পরিধি আরও বেশি, তাই ধরে নেওয়া যায়, কর্মসংস্থান আরও হ্রাস পাবে।

কুলটন বলেন, ‘ট্রাম্পের এ শুল্ক নাটকীয়। এগুলো মার্কিন অর্থনীতির জন্য ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে।’