News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

বিমানের ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তি চরমে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2025-05-23, 7:26am

new_project_40-48ee341b1597769a3d69eba16846093f1747963566.jpg




এক সময় দেশের রেল ব্যবস্থাপনা নিয়ে এটি ছিল রেলযাত্রীদের সাধারণ একটি প্রশ্ন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের ক্ষেত্রেও একই ধরণের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ আশা করেছিল ক্ষমতার পালা বদলে পরিবর্তন আসবে, কমবে ভোগান্তি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ বিমানের সেবার মানে কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা বিমানের সেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অকারণে দেরিতে যাত্রা, লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাসহ বিনা নোটিশে যাত্রী ভোগান্তির সেই পুরনো চিত্র এখনো চলমান। যাত্রী হয়রানি বাড়লেও তা স্বীকার করছে না বিমান কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিশ না দিয়ে যাত্রীদের অপেক্ষমান রাখে। পরে জানানো হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট পরিবর্তন করা হয়েছে, যা রাত ৮টায় ছাড়বে। একইভাবে হজের ফ্লাইট বিলম্ব নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ।

যদিও এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এখন বিমানের ভোগান্তি আমরা কমিয়ে এনেছি। আগে ফ্লাইট বিলম্বের সমস্যা ছিল তবে এখন সেটি কমে গেছে। বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ছাড়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টায় কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট দেরি হয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর শনিবার রাতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে দুবাই থেকে ছেড়ে আসে বিমানের বিজি-৩৪৮ ফ্লাইটটি। এটি দুবাই থেকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর ছাড়ে। দেরিতে ছাড়ার কারণে ঢাকায় দেরিতে পৌঁছানো ও এয়ারপোর্টে যাত্রীদের লাগেজ না পাওয়া নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে।

বিমানের যাত্রীরা জানান, এমন অব্যবস্থাপনা আর ভোগান্তিতে বিমান বাংলাদেশে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হবেন দেশি-বিদেশি যাত্রীরা। বিজি-৩৪৮ ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের এক যাত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের দুবাই কাউন্টারে যারা আছেন তাদের সংশ্লিষ্ট কাজের কোনো জ্ঞান নেই। এ জন্য ভোগান্তির আরম্ভ হয় একেবারে শুরু থেকে। আমি ও আমার পরিবার দুবাইয়ের রেসিডেন্ট। আর বাংলাদেশের নাগরিক। এ জন্য বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি আমাদের পাসপোর্টে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সিল মেরে দিয়েছে। এর অর্থ হলো দুবাই এবং বাংলাদেশ ভ্রমণে আমাদের কোনো ভিসা লাগবে না। আমাদের পাসপোর্টের মেয়াদ যত  দিন আছে আমরা তত দিন যখন ইচ্ছা দুবাই-বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারব। অথচ বিমান বাংলাদেশের কাউন্টারে এটা দেখার পরও এত দিন কেন দুবাইয়ে আছি ইত্যাদি প্রশ্ন করছিল।

এর আগে গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবিগামী একটি বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের ৯ ঘণ্টা ভুগতে হয়েছিল। ওই দিন রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে আবুধাবির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল বিজি-১২৮ ফ্লাইটটির। এরপর রাত পৌনে ৩টায় আবার আবুধাবি থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে আসার কথা ছিল বিমানটির। তবে উড্ডয়নের আগে ডানায় ত্রুটির কারণে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর বুধবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় অন্য একটি বিমান আবুধাবি পৌঁছায়। পরে আমিরাতের শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল পৌনে ১১টায় ১৪৩ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর যাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচবার সময় নিয়ে ছয় ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর মদিনা-ঢাকা ফ্লাইট বাতিল করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ওই দিন বিমানের বিজি-১৩৮ ফ্লাইটটি মদিনার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। অথচ ছয় ঘণ্টা যাত্রীদের বসিয়ে রাখার পর ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ২৭১ আসনের বিমানের ২৫০ যাত্রী।