News update
  • The Ocean: Changing Lives and Powering Growth     |     
  • Israeli Strikes Kill 70+ in Gaza on Eid, 16 in One Home     |     
  • Safe food reduces hypertension risk     |     
  • Activist aid ship nears Gaza after reaching Egypt coast: organisers     |     
  • UNRWA Report on Humanitarian Crisis in Gaza and West Bank     |     

হজের খুতবায় যা বললেন শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-06-05, 9:07pm

4b26a6965d1dcfbaf2c54c2a6db44579e1bdf81f19b31926-15357163222ea3155ecf36eb11cdb6101749136062.png




প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের মূল দিন ৯ জিলহজে আরাফার ময়দান থেকে হজের খুতবা প্রদান করা হয়েছে। মসজিদুল হারামের খতিব ও সৌদি আরবের প্রভাবশালী আলেম, শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ এবার খুতবা প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) লাখো হাজি সমবেত হয়েছেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। সেখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেন শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। তিনি বলেন, আমাদের পরিপূর্ণ মুমিন হতে হবে। আল্লাহর আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাদের জন্য রেখেছেন চিরস্থায়ী জান্নাত।

তিনি আরও বলেন, নবীজি বলেন, ইসলাম হলো আল্লাহ এক এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে, নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে, জাকাত দিবে, সক্ষম হলে হজ করবে। আল্লাহর জন্যই  সব ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ চান পৃথিবীর মানুষ যেনো তাকওয়াবান হয়ে যান। আল্লাহ মানুষকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করবে না।

তিনি আরও বলেন, সমাজের বন্ধন দৃঢ় করতে তোমরা পরস্পর ভ্রাতৃত্ববন্ধন রক্ষা করবে। আত্মীয়তা রক্ষা করবে। তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে।

তিনি আরও বলেন, আজ একটি বিশেষ দিনে লাখ মুসলিম একত্রিত হয়েছি, এটি এমন একটি দিন যে দিন আল্লাহ অগণিত মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।

তিনি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দোয়া করে বলেন, হে আল্লাহ আপনি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের হেফাজত করুন। তাদের উপর আপনার রহমত বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ আপনি তাদেরকে তাদের ও আপনার শত্রুদের উপর সাহায্য করুন।

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই খুতবা যাতে সবার কাছে পৌঁছায়, সে লক্ষ্যে বাংলা, ইংরেজি, চাইনিজ, রুশ, তুর্কি, রোহিঙ্গা, ফরাসি, তামিল, পশতুসহ প্রায় ৩৫টি ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচার করছে সৌদি সরকার।

এদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন দোয়া, ইস্তিগফার এবং ইবাদতে মশগুল হয়ে। এখানে তারা একত্রে আদায় করবেন জোহর ও আসরের নামাজ। এরপর রওনা হবেন মুযদালিফার উদ্দেশ্যে, যেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে একত্রে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।

পরদিন ফজরের নামাজ শেষে তারা রওনা হবেন মিনার জামারাতে, যেখানে ইসলামের চিহ্নিত শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন এটি হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।