News update
  • Let's build a society of love, tolerance, peace and harmony: Tarique Rahman      |     
  • Bangladesh at a Crossroads as 2025 Reshapes the Nation     |     
  • Khaleda Gets Eternal Farewell from Over a Million of Hearts     |     
  • Sea of Mourners Gathers to Pay Tribute to Khaleda Zia     |     

কিছু দুষ্টু লোক আমাদের সম্প্রীতিতে ফাটল ধরাতে চায়: মিজানুর রহমান আজহারী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-01-18, 6:42pm

erwewerwe-5a937a384b3480621f6a06eec594eb581737204123.jpg




কিছু দুষ্টু লোক বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিতে ফাটল ধরাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

তিনি বলেছেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সব মিলিয়ে বাংলাদেশ। আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, ভালোবাসা, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, বোঝাপড়া অনেক মজবুত। কিছু দুষ্টু লোক আমাদের এই সম্পর্কের মধ্যে মাঝে-মধ্যে ফাটল ধরাতে চায়। আমরা যে সুখে আছি, শান্তিতে আছি, অনেকের সেটা ভালো লাগে না।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাঠে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে এসব কথা বলেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

তিনি বলেন, তাফসির মাহফিলের আয়োজন করলে হিন্দু ভাইয়েরা কোনো ডিস্টার্ব করে না। আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, ভালোবাসা আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। খুলনায় কয়েকশ হিন্দু ভাই এসেছে আমাদের আলোচনা শুনতে। আলহামদুলিল্লাহ! অনেক বৌদ্ধরা বসেন আমাদের আলোচনা শুনতে। আমাদের মুসলিম ভাইদের দায়িত্ব তাদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা। আমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। ইসলামের সৌন্দর্য এমন করে ফুটিয়ে তুলতে হবে, যাতে করে অমুসলিম ভাইয়েরা কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে যায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা নেই। আমরা ভাই ভাই। কিছু দুষ্টু লোক আছে, তারা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে চায়। মাঝেমধ্যে ঝগড়া লাগাতে চায়। পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনায় হামলা চালানো হয়। এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলোতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। সব সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে আমাদের ১ ঘণ্টাও লাগবে না।

আজহারী বলেন, হিন্দুরা পূজা করে, হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠানের দিন আমরা মাহফিল করি না। যেদিন আমাদের তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হয়, ওইদিন তারা পূজা অনুষ্ঠান করে না। হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠানে মাদরাসার ছাত্ররা গিয়ে পাহারা দেন। গোটা বিশ্বে এ রকম নজির বিরল।

আরটিভি