
দেশের ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য এবার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন বা কর বিবরণী অনলাইনে জমা দেওয়ার শেষ সময় শেষ হতে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবার সকল করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। তাই এবার আর সরাসরি কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না।
বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএনধারী) রয়েছেন। যাদের করযোগ্য আয় আছে, তাদের অবশ্যই রিটার্ন দিতে হবে।
অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার ধাপগুলো কী?
১. নিবন্ধন ও লগইন:
অনলাইনে রিটার্ন দিতে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন হয়ে গেলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।
২. রিটার্ন ফরম পূরণ:
আপনার আয়ের তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য ফরমে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৩. কাগজপত্র আপলোডের প্রয়োজন নেই:
অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার সময় কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না, তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে প্রদর্শনের জন্য সেসব কাগজপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
৪. কর পরিশোধ:
রিটার্ন জমা দেয়ার পর কর পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে অনলাইনে। আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ কিংবা অন্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর দিতে পারবেন।
রিটার্ন দিতে হলে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?
.বেতনের প্রমাণ: বেতন ভাতার ব্যাংক স্টেটমেন্ট (১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কাল)
.সিকিউরিটিজ থেকে আয়: সুদের সার্টিফিকেট
.ভাড়া: ভাড়ার চুক্তিপত্র
.পৌর করের রসিদ
.ঋণের সুদের সনদ
.মূলধনী সম্পদের ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল
.শেয়ার থেকে লভ্যাংশের ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট
যদি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াত চান, তবে এই কাগজপত্রও প্রয়োজন হতে পারে:
জীবনবিমার প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলের চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমের চাঁদার রসিদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলের চাঁদার রসিদ ইত্যাদি।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা বা অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তাই এখনই দ্রুত ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন নিয়ে রিটার্ন পূরণ ও জমা দিতে হবে।
আরটিভি