News update
  • Khaleda Gets Eternal Farewell from Over a Million of Hearts     |     
  • Sea of Mourners Gathers to Pay Tribute to Khaleda Zia     |     
  • State mourning begins, state funeral for Khaleda Zia at 2 pm     |     
  • Kamal Hossain: Khaleda Zia was ‘a patriot and democratic guardian'     |     

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: পররাষ্ট্র নীতি প্রভাব ফেলতে পারে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2024-06-07, 6:49pm

dshhhsdiufoi-489ad72eca85d3f955e8ca8f6f7a73c51717764856.jpg




১৯৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন ভোটদাতাদের আগ্রহ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা জেমস কারভিল বলেছিলেন, “ বোকা, এটা হচ্ছে অর্থনীতি”। এই উক্তিটি বার বার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে ।

মনে করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আবার যে প্রতিযোগিতা সম্ভবত হতে যাচ্ছে এ বছরের নভেম্বর মাসে সেখানে ভোটদাতাদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হবে অর্থনীতি কিন্তু যে সব অঙ্গরাজ্যে দোদুল্যমান ভোটদাতারা রয়েছেন তাদের ভোটদানে গাজা ও ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রভাব ফেলতে পারে আর তার ফলে নির্বাচনে পররাষ্ট্রনীতির একটি ভূমিকা থাকবে।

লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সে ডিলার্ড ইউনিভার্সিটির আরবান স্টাডিজ এন্ড পাবলিক পলিসি বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট কলিন্স বলেন, “অনুমান করা হচ্ছে এবারের নির্বাচন হবে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে এর ফলাফল নির্ধারিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই ঠিক করতে পারেন, কে হবেন প্রেসিডেন্ট”।

ম্যাসাচুসেটস’এর সঙ্গীত শিক্ষক লাওরি স্কালার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন এই নির্বাচন অন্য নির্বাচনগুলি থেকে আলাদা মনে হচ্ছে অংশত কারণ গাজার যুদ্ধ হচ্ছে তরুণ ডেমক্র্যাটদের জন্য “এক চরম মূহুর্ত”।

স্কালার বলেন, “তারা তৃতীয় কোন দলের প্রার্থিকে বেছে নিতে চায় কিংবা সম্পূর্ণভাবে ভোট দানে অস্বীকৃতি জানাতে পারে, আমার মনে হয় এমন অনেক উদারপন্থি তরুণ ভোটদাতা রয়েছেন যারা আগামি নভেম্বরে বাইডেনকে ভোট দেবেন না আর তাতেই আমি শঙ্কিত যে এর মানে হচ্ছে ট্রাম্প জিতে যাবেন”।

আমেরিকান তরুণরা গাজার দিকে মনোনিবেশ করছেন

এ বছর আরও আগের দিকে হারভার্ডের কেনেডি স্কুল অফ গভর্ণমেন্ট এক জরিপে দেখেছে যে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী আমেরিকানরা গাজায় স্থায়ী অস্ত্র বিরতিকে বিপুল ভাবে সমর্থন করে।

লুইজিয়ানার শৃভপোর্টের একজন গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী ব্রুকলিন বার্ডি বলছেন ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু ২০২৪ সালে তা করবেন না।

বার্ডি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “কোন ভাবেই এই হেমন্তে ‘জেনোসাইড জো’ আমার ভোট পাবেন না। তিনি চলমান জাতিগোষ্ঠিগত শুদ্ধিকরণে সন্তুষ্ট”।

তার অর্থ এ নয় যে তিনি পরিবর্তে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ব্যবসায়ী হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার সময়টা অর্থনীতির জন্য ভাল ছিল কিন্তু আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে পারি না ইসরায়েলের প্রতি যার এমন অবিচল সমর্থন ও আনুগত্য রয়েছে। আমি ভাবছি তৃতীয় কোন পক্ষকে আমি ভোট দেবো, কিন্তু এখনও আমি নিশ্চিত নই”।

আমেরিকান অগ্রাধিকারসমূহ

নিউ ইয়র্কের একজন শিক্ষয়িত্রী পেইজ বেনসনের কাছে বিদেশে আমেরিকার ভূমিকার মূল্য আছে কিন্তু এটা ভোটের ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তে কোন ভূমিকা রাখবে না।

তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আমি পররাষ্ট্রনীতিকে মূল্য দিই এবং আমি মনে করি অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বস্তুত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা সত্ত্বেও আমাদের নিজেদের দেশকে নিয়ে আমাদের অনেক কিছু করার আছে”।

তিনি আরও বলেন,“আমি কাকে ভোট দেবো এ প্রশ্নের জবাবে আমি তাকেই ভোট দেবো অর্থনীতি নিয়ে যার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। মনে হচ্ছে সকলেই যেন এখন সংগ্রাম করছেন। আমি জানি, ছয় অংকের বেতন পাচ্ছেন এমন লোকজনও সংগ্রাম করছেন। ভেবে দেখুন অবশিষ্ট এই আমরা কি করছি”।

ফ্লোরিডায় বাস করছেন অবসরপ্রাপ্ত হার্ভে ওয়্যাসরম্যান। তিনি বলছেন তিনি অভিবাসন বিষয়কে সামনে রেখে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন,“পররাষ্ট্র নীতিটা গুরুত্বপূর্ণ তবে আমরা যেন বিশ্বের বিচারক ও জুরি হওয়া বন্ধ করতে পারি। আমি মনে করি আসুন আমরা নিজের দেশের প্রতিই নজর দিই। আমি দেখতে চাই সুরক্ষিত সীমান্ত এবং নাগরিকত্বের পরিস্কার শর্ত। আমার মনে হয় সম্ভবত ট্রাম্প এটা নিশ্চিত করতে পারবেন”।

প্রান্তিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত

কানেটিকাটের ভোটদাতা রেবেকা উরুশিয়া বলছেন এর কারণ হচ্ছে, “অন্যন্য দেশের সঙ্গে আমরা উত্তেজনাকে যে ভাবে মোকাবিলা করি, সেটা আমার উপর বড় রকমের প্রভাব ফেলবে”। তিনি ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন,“ট্রাম্পের কথাবার্তার ধরণ আমার একেবারেই পছন্দ নয় কিন্তু পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে তিনি বেশি শক্তিশালী । তিনি সোজাসুজি কথা বলেন এবং যে প্রতিশ্রুতি দেন সেটা অনুসরণ করেন। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন তাদের অবস্থানে বেশ নড়বড়ে। আর সিদ্ধান্তহীনতার কারণে অনেক কিছু ঝুঁকির মুখে পড়ে”।

লুইজিয়ানার ভোটদাতা ডেবি পেসেসের কাছে পররাষ্ট্র নীতি শীর্ষ অগ্রাধিকারের বিষয়, তবে তিনি বাইডেনকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, “পুতিন যদি ইউক্রেন দখল করেন, তা হলে ইউরোপের কোন দেশই নিরাপদ থাকবে না। আর গাজার জনগণের ব্যাপারে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের এক মাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে হুমকি প্রদান করতে হামাসকে দিতে পারিনা”।

পেসেস আরও বলেন,“আমরা হোয়াইট হাউসে শান্তশিষ্ট কাউকে চাই আর যদিও বাইডেনের বয়স নিয়ে আমি চিন্তিত, এই দায়িত্বে তাঁর মেজাজ ট্রাম্পের চেয়ে অনেক ভাল”।

২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রভাব

ডিলার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কলিন্স বলছেন এই নির্বাচনের ফলাফল দোদুল্যমান রাজ্যগুলির ভোট দাতারা নির্ধারণ করতে পারেন, গাজায় যুদ্ধের মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ নির্বাচনের ফলে ছায়াপাত করতে পারে। যেমন জর্জিয়ায় চার বছর আগে বাইডেন ১২,০০০’এর কম ভোটে জিতেছিলেন।

কলিন্স বলেন, “শুধুমাত্র আটলান্টায় ১১,০০০’এরও বেশি মুসলিম-আমেরিকান রয়েছেন। সেটা নির্ধারণ করতে পারে আগামি প্রেসিন্টে কে হবেন সেই বিষয়টি। তা ছাড়া অ-মুসলিম কলেজ শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন যারা বাইডেন যে ভাবে ইসরাইলের সংঘাতের বিষয়টি মোকাবিলা করছেন সে বিষয়ে প্রচন্ড অসন্তুষ্ট”।

তিনি আরও বলেন, “পরিশেষে আমার মনে হয় মুসলিম-আমেরিকানরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন যে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ব্যাপারে দু জনের মধ্যে বাইডেন কম খারাপ তবে আমার মনে হয় তরুণ ডেমক্র্যাটিক ভোটদাতারা এতটাই হতাশ যে তারা ভোট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনকে অনির্দিষ্ট করে তোলার জন্য কি অনেকেই নির্বাচনের বাইরে থেকে যাবেন?”