News update
  • Dhaka-Beijing partnership to advance peace, prosperity: Yunus     |     
  • Banks in Bangladesh slash CSR; spending hits 10-year low     |     
  • Law approved to equip EC to punish neglect of polls duty     |     
  • Expats must register thru mobile app to vote in BD polls     |     
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     

অনলাইনে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ প্রয়োজন

গ্রীণওয়াচ ডেস্কঃ খবর 2022-12-07, 9:10pm




অনলাইনে কিংবা সাইবার জগতে নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এলক্ষ্যে নারী নির্যাতন বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্বজুড়ে পালিত ‘১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ এর অংশ হিসেবে বুধবার ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ (উইং) প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এসময় অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জেন্ডারভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার উপর বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন উইং প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (আনন্দমেলা কোঅর্ডিনেটর) সারা জিতা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে সাথে সাইবার জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে নিয়মিত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। সাইবার জগতে সুরক্ষিত থাকার জন্য নারী ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।

প্রযুক্তিনির্ভর  বিশ্বে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা যাবে এবং কোন ধরনের কন্টেন্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে সে সম্পর্কে জানতে হবে। সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বর্তমানে প্রতি পাঁচজনে একজন করে নারী বিভিন্নভাবে সহিংসতার সম্মুখীন হন। নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত ১৬ দিনের প্রচারণা কর্মসূচি অংশ হিসেবেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সাইবার জগতে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এ ধরনের যেকোনো সমস্যায় নিজের প্রতি ভরসা রাখা, সচেতন থাকা এবং যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারের ও কাছের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের সাহসী ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বপ্ন ও উইং প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজল চ্যাটার্জি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধে ৩টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-সচেতনতা সৃষ্টি, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং যথাযথ সুরক্ষা প্রদান। আমরা উইং প্রকল্পের আনন্দমেলা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের মাধমে নারীদের সাইবার বুলিং বিষয়ে প্রতিনিয়ত সচেতন করে তুলছি যেন নারী উদ্যোক্তাদের কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয় এবং নিশ্চিন্তে তারা ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) নাহিদ সুলতানা মল্লিক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (সিসিটি) এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এবং জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ড. সৈয়দ মো. শেখ ইমতিয়াজ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স ক্লাস্টার এর সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনীম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং ই-ক্যাব উইমেন ফোরাম এর সভাপতি নাজনীন নাহার এবং সাইবার টিন এর প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রহমান।

অনুষ্ঠানে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতি ও সাইবারস্পেস এ নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে কৌশলগত নির্দেশনা প্রদানে একটি সেশন পরিচালনা করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই এবং স্বপ্ন ও উইং প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং আনন্দমেলা প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত তরুণ উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের নারী অধিকার কর্মীরা ১৯৮১ সাল থেকে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ভিয়েনা মানবাধিকার সম্মেলনে ১৯৯৩ সালে এ দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নারী নির্যাতন দূরীকরণ বিষয়ক ঘোষণা গ্রহণ করে এবং ২৫ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি প্রদান করে।

পরবর্তীতে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১৬ দিনের প্রচারণা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস পালনসহ ১৬ দিনের প্রচারণায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতিসংঘ কর্তৃক এ বছরের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি’।