
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক অনুষ্ঠানের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চোখ বন্ধ করে বসে থাকার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের বিরোধীরা ফুটেজটি ব্যবহার করে তার কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জনপ্রিয় ওষুধের দাম কমানোর বিষয়ে ওভাল অফিসে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এসময় আরও অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন
অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্তে দেখা যায়, ট্রাম্পের চোখ বন্ধ, আবার কখনও মনে হচ্ছিল চোখ খোলা রাখতে কষ্ট হচ্ছে প্রেসিডেন্টের। কিছু সময়ে তাকে চোখ কচলাতেও দেখা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের প্রেস অফিস ট্রাম্পের সেই মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘ডোজি ডন ফিরে এসেছে’।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেলর রজার্স সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ঘুমিয়ে পড়েননি, বরং তিনি পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে কথা বলেছেন এবং সাংবাদিকদের বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দুটি ওষুধের দাম কমিয়েছেন। ওষুধগুলো ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতা ও অন্যান্য সমস্যায় ভোগা মানুষদের সহায়তা করবে। ওষুধগুলোর দাম কমানোয় ভোক্তাদের কোটি কোটি ডলার সাশ্রয় হবে এবং অসংখ্য মার্কিনের জীবন রক্ষা পাবে। কিন্তু ব্যর্থ উদারপন্থি সংবাদমাধ্যম সেটি প্রচার না করে মিথ্যা গল্প ছড়াতে ব্যস্ত।'
ট্রাম্প প্রায় নিয়মিতই জনসমক্ষে উপস্থিত হন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর সেশন পরিচালনা করেন। তার সহকারীরা ও মন্ত্রীরা প্রায়ই তার কর্মউদ্যমের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে, ট্রাম্প প্রায় সব সময়েই ফোন বা বার্তা পাঠিয়ে থাকেন।
বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানটির আগের দিনই তিনি মিয়ামিতে এক ঘণ্টারও বেশি দীর্ঘ অর্থনৈতিক ভাষণ দিয়েছিলেন। গত মাসের শেষের দিকে তিনি এশিয়ার তিনটি দেশ সফরও সম্পন্ন করেন।
তবুও, ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ৭৯ বছর বয়সি এই প্রেসিডেন্ট গত মাসে জানিয়েছিলেন, তিনি ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে শারীরিক পরীক্ষার সময় একটি এমআরআই করিয়েছেন, যদিও কারণটি উল্লেখ করেননি।
গত গ্রীষ্মে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের পায়ে ফোলাভাবের কারণে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেন এবং তার ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি ধরা পড়ে। এটি এমন একটি সমস্যা, যেখানে শিরার ভাল্ভ ঠিকমতো কাজ না করায় রক্ত জমে থাকতে পারে।
সব প্রেসিডেন্টেরই কোনো না কোনো সময় জনসমক্ষে ক্লান্ত দেখানোর নজির আছে। তুলনামূলকভাবে তরুণ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও দীর্ঘ বৈঠকের পর ক্লান্ত চোখ ঘষতে দেখা গেছে।তথ্যসূত্র : সিএনএন