News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

নিত্যপণ্যে ধুঁকছে সাধারণ মানুষ, স্বস্তি মিলবে কবে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-12-06, 8:21am

cd989db1bab298ae6ad4fa046daecd86621aae8d7be69c77-e082fafa28c9a57d72fd28cba42129401733451718.jpg




সরকারি হিসাবের চেয়ে বাস্তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। জীবনযাত্রায় জিনিসপত্রের ব্যয় বৃদ্ধির দৌড়ে তাইতো বাজারে বাড়ছে সাধারণ মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের গল্প। ভালো তো দূরে থাক, পচা-গলা পণ্য কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় উচ্চ প্রবৃদ্ধির স্বপ্নে বিভোর না হয়ে আগামী অর্থবছরেও ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলার ।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দাবি করার পর বাংলাদেশ পরিংসখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) জানায়, নভেম্বরেও ধরা যায়নি পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা মূল্যস্ফীতির লাগাম। 

মহাখালীর রেললাইন এলাকার আশপাশের বাজারগুলো যেন এ চড়া মূল্যস্ফীতির বড় সাক্ষী। জীবনযাত্ররা ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে না পেরে পচা-গলা সবজি নিয়েও বিক্রির অপেক্ষায় থাকছেন বিক্রেতারা। আর এসব কিনতে যারা ক্রেতা হয়ে আসছেন তারাও বলছেন নিত্যদিনের ব্যয় বৃদ্ধির গল্প।

একই অবস্থা অন্যান্য এলাকাতেও। ভোক্তারা বলেন, শাক-সবজি ও চালসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এ পরিস্থিতিতে একটু নিম্নমানের পণ্য কিনে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন তারা।

এসব গল্পের কিছুটা উঠে আসছে সংখ্যাতত্ত্বেও। বিবিএস বলছে, অক্টোবরের পর নভেম্বরেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ঠেকেছে ১৩.৮০ শতাংশে। যদিও গত ২ ডিসেম্বর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি জানিয়েছে, বাস্তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেশি থাকে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০-১১ শতাংশ দেখালেও প্রকৃত অর্থে তা ছিল ১৫-১৭ শতাংশে।

জীবনযাপনের খরচ বৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সরকারি সংস্থার এমন কারচুপির মধ্যে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে আগামী অর্থবছরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি নয়, বরং সংকোচনমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই।

মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দেয়ার জন্য পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে আমদানি বৃদ্ধি ছাড়া সহজ বিকল্পও নেই তাদের পরামর্শে। ড. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে আমদানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।

শুধু খাদ্যপণ্য নয়, পরিবহন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদনের মতো খাদ্যবহির্ভূত খাতেও সাধারণ মানুষকে সামাল দিতে হচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির চাপ। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনায় এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাবে প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছেন। এখনও যারা টেনেটুনে দারিদ্র্যসীমা পার করে বসবাস করছেন, তারা লড়াই করছেন উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার সুখবর আসবে না রাতারাতি; কিন্তু জনগণকে স্বস্তি দিতে পদক্ষেপ নিতে হবে অতিদ্রুত। সময়