News update
  • Five Shariah Banks to Merge Into State-run Sammilito Islami Bank     |     
  • Dhaka’s air ‘unhealthy for sensitive groups’ Wednesday morning     |     
  • US proposes that the UN authorize a Gaza stabilization force for 2 years     |     
  • Democrat Zohran Mamdani is elected New York City mayor     |     
  • Martyr Mugdha's brother Snigdha steps into politics with BNP     |     

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল: এপ্রিলে শেষ হবে শতভাগ কাজ, অক্টোবরে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-02-21, 2:08pm

lakjdiauod9ai-05af6d64468e28a5a7a67124ca9514991708503025.jpg




ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে আংশিক উদ্বোধনের পরথেকে পুরোদমে কাজ চলেছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে এর শতভাগ কাজ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে। সব প্রস্তুতি শেষে আগামী অক্টোবর থেকে পুরোদমে কার্যক্রমে আসবে নতুন এই টার্মিনাল।

জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়ার সময় আগামী ৫ এপ্রিল নির্ধারিত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ এপ্রিল টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। এরপর শুরু হবে পুরোনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে সবকিছু স্থানান্তরে অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের কাজ। এরই মধ্যে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিব্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা একাধিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হবে। এরপর টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক।

কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন এই টার্মিনালে থাকবে বিশ্বমানের সব সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রীসেবা। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এই টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, তৃতীয় এই টার্মিনালের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই শেষ।

টার্মিনালটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাকি তহবিলের জোগানদাতা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। টার্মিনালটির নকশা করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ও ব্যস্ততম হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার রোহানি বাহারিন।

দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনালে এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার যাত্রী সেবা পাচ্ছেন। সেই হিসাবে বিমানবন্দরটি বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বছরে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

বেবিচক বলছে, বিশ্বমানের এই টার্মিনালে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি রাখার সক্ষমতাসহ বহুতল গাড়ি পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট থাকবে। একটি করিডরের মাধ্যমে পুরোনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালকে যুক্ত করা হবে।

ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলে যানজটের ভয়ে হাতে লম্বা সময় নিয়ে রওনা দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, তৃতীয় টার্মিনালে যেতে সেই ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। যানজট এড়ানোরও নানা অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।

এর আগে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেন। সে সময় উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর নবনির্মিত টার্মিনাল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেখানে শিশুরা নাচেগানে তাকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এ সময় টার্মিনালে যাত্রীদের কীভাবে সেবা দেওয়া হবে, তা প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতীকী একটি বোর্ডিং পাস দেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। এরপর তিনি ইমিগ্রেশনে যান। ইমিগ্রেশন থেকে তিনি নিরাপত্তার ধাপগুলো পার হন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন।