News update
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     
  • India willing to work together inspired by shared sacrifices of past     |     

৩ দাবিতে প্রাথমিকের পৌনে ৪ লাখ শিক্ষকের কর্মবিরতি শুরু 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2025-05-05, 1:22pm

rterw343423-2a35dfae15eba4b1e2e31434bab180b41746429750.jpg




সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আগে থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। তবে এখন তারা বলছেন, শুরুতে অন্তত ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।

এ তিন দাবি আদায় না হওয়ায় আজ সোমবার (৫ মে) থেকে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৬ মে থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পৌনে ৪ লাখের মতো শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতদিন এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন।

গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালত এক রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেন। সেইসঙ্গে তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত হয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত করে ১২তম করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও সুপারিশ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সর্বশেষ ২০২০ সালে বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন– দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করা হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড করা হয় ১৩তম।

গত সরকারের আমলে ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছিল। তা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে আদালতের শরণাপন্ন হন। সর্বোচ্চ আদালত প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদাসহ ১০ম গ্রেডের রায় ঘোষণা করেন।

আরটিভি/