উৎসবমুখর নির্বাচনের সংস্কৃতি দেখা যায়নি বেশ কয়েক বছর ধরেই। গত তিনটি নির্বাচনেই প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছিল না। কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হওয়ার পর, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে তাই উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। নির্বাচনের মাঠে জোরেসোরেই নামছে রাজনৈতিক দলগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে তফসিলের অপেক্ষায় দলগুলো।
যদিও জুলাই সনদ ইস্যুর কারণে কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে, রাজনীতির মাঠে শক্তিমত্তার জানান দেয়া এবং সংগঠন গোছাতে তৎপর সবাই।
এরইমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত মিত্ররা ২১৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে দলটির কাছে।
অন্যদিকে, অনেকটা অলিখিত জোটবদ্ধ পথচলা শুরু করেছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল। তবে ২৯৯ আসনে একক প্রার্থী দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জানা গেছে, ডিসেম্বরে জোটের আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে জামায়াতের। ধর্মভিত্তিক দল ছাড়াও এতে যুক্ত হতে পারে মধ্যপন্থি দলও।
আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি। তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত দলটিকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত, দুই পক্ষের জোটের আলোচনা উঠছে মাঝেমধ্যেই। এতোদিন জুলাই সনদের দাবিতে নানা কর্মসূচিতে থাকলেও এখন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ‘নেতাকর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন জোটবদ্ধ হবে নাকি এককভাবে হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত করিনি আমরা। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ তৈরি হবে কি না, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলএহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘নির্বাচনে জোট সবার সঙ্গে আলোচনা চলছে। নভেম্বরে আলোচনা আরও এগোবে আর ডিসেম্বরে চূড়ান্ত করা যাবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কেন্দ্রিক যাতে জনসংযোগ বাড়ে এবং আমাদের বার্তা যেন জনগণের কাছে পৌঁছায়, সেটা আমরা আরও জোরদার করবো। শিগগিরই একক প্রার্থী মাঠে কাজ করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিবো। তবে সেটা অফিসিয়াল ঘোষণা হবে তখন, যখন তফিস দেবে নির্বাচন কমিশন।’