News update
  • 2025: Resilient Economies, Smart Development, and More Jobs      |     
  • Dhaka rejects India's statement on incident at BD HC residence, New Delhi      |     
  • Stocks end lower; trading falls at DSE, improves at CSE     |     
  • No need to be kind to election disruptors: EC to law enforcers     |     
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     

বিচার চেয়ে ডরিনের পাশে থাকা মিন্টুই আনার হত্যায় জড়িত!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-06-14, 10:07am

eryeyuyu-e23ce88a7b2d248e8c3fd51e71ca485b1718338047.jpg

ডরিনের পাশে থেকেই এতোদিন আনারের খুনিদের বিচার চেয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু। ফাইল ছবি



ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার খবর গণমাধ্যমে প্রচার হতেই চলে নানা আলোচনা। কী কারণে খুন, এর পেছনে কারা- তা নিয়ে নানা প্রশ্নের বিশ্লেষণ চলে স্থানীয় রাজনীতিতেও। আনারের খুনিদের শাস্তির দাবিতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন হয় দফায় দফায়। এ কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি দেখা যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর।

শুধু বিক্ষোভ আর মানববন্ধন নয়, বাবার হত্যকারীদের বিচার চেয়ে যতবারই আকুতি জানিয়েছেন প্রায় প্রতিটি সময়ই আনার কন্যা ডরিনের পাশেই ছিলেন তিনি। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টে গেল সে চিত্র। এতোদিন যে ঘটনায় বিচার চেয়ে রাজপথে ছিলেন এবার সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মিন্টু। যেন সিনেমার কাহিনীকেও হার মানালেন তিনি।

কলকাতায় সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে শুরু থেকে আলোচনায় স্বর্ণ চোরাচালানসহ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। তবে এ ঘটনায় নতুন মোড় নেয় ৬ জুন রাতে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেফতারের পর। মূলত, শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, আনার হত্যায় রাজনৈতিক যোগসূত্র পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১১ জুন ধানমন্ডি থেকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেফতার করে ডিবি। আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় তাকে আটদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। সাবেক এই পৌর মেয়র, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটে লড়তে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

শিমুল ভূঁইয়ার জবানবন্দিকে আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই মিন্টুর যোগাযোগ হয়। হোয়াটসঅ্যাপে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর্থিক লেনদেন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে দাবি ডিবির।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, আনার হত্যায় মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে ডিবি পুলিশ। এ কারণেই তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহ থেকে এমপি হতে চেয়েছিলেন মিন্টু। এছাড়া আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কামাল আহমেদ বাবুর সঙ্গেও ছিল ঘনিষ্ঠতা। আর কিলিং মিশনে অর্থের জোগানদাতাদের মধ্যে মিন্টু অন্যতম।

বাবু ও মিন্টুকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডিবির এই কর্মকর্তা।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এদিকে, ৯ জুন কলকাতায় রিমান্ডে থাকা সিয়ামকে নিয়ে একটি খালে অভিযান চালিয়ে কিছু হাড়গোড় পায় সিআইডি। উদ্ধার করা হাড়গোড়গুলো নিহত এমপি আনারের হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। সময় সংবাদ