
The footpath of Kalapara Bridge has now turned into a death trap.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া সেতুর ফুটপাত ভেঙ্গে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গত এক বছর ধরে সেতুটির অন্তত ২০ টি স্লিপার ভেঙ্গে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই স্লিপার মেরামত কিংবা নতুন স্লিপার সংযোজন না করলে চরম ক্ষতির সন্মূখীন হতে পারে মানুষ। অনেক স্লিপারে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কলাপাড়া -কুয়াকাটা ২২ কিলোমিটার সড়কে তিনটি সেতুর মধ্যে আন্ধারমানিক নদীর উপর কলাপাড়া সেতুর ২০১১ সালের ১২ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন হয় ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী। ৮৯২ মিটার দৈর্য এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটিতে ব্যয় হয় ৬৫ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৬ টাকা। সেতুটির এক প্রান্তে কলাপাড়া পৌরসভা অপর প্রান্তে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন। এ দু'পাড়ের মানুষ খেয়া পারাপারের পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনে সেতুটির দু'পাশের ফুটপাত ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে রাতে খেয়া পারাপার বন্ধ হলে সেতুটির ফুটপাতই ছিল চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। এছাড়া কলাপাড়ায় বিনোদন স্পট না থাকায় মানুষ পবিত্র ঈদ-উল ফিতর কিংবা ঈদ-উল আযহা অথবা বিশেষ কোন দিনে মানুষ সেতুটির ফুটপাতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতেন নদীর দু'পাড়ের দৃশ্য।
অনেকে সকাল, সন্ধ্যায় হাঁটার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সেতুটির দু'পাশের ফুটপাত। বর্তমানে ফুটপাত ভেঙ্গে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ফুটপাত ছেড়ে সেতুটির মধ্য দিয়েও চলাচল করছে। অথচ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত যাত্রীবাহি বাস সহ পর্যটকদের যানবাহন চলাচল করছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার বলেন, কলাপাড়া সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। এটির উপর দিয়ে শতশত যানবাহন কুয়াকাটায় যাতায়াত করে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এতদিন ফেলে রাখা এটা একদমই উচিৎ হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা বলেন' সেতুটির ফুটপাত এক বছর ধরেই বেহাল অবস্থায়। এটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ ছিল আগেই। এটা এ বিভাগের দায়িত্বহীনতা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেতুটির ফুটপাত সংস্কার করা হবে। - গোফরান পলাশ