News update
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বড় যে প্রশ্নটি এখনও রয়ে গেছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-06-23, 12:22pm

img_20250623_122022-279c4a0ef71421def6adcf100c11a7561750659763.jpg




ইরান-ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাত আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো, ইরান কি হরমুজ প্রণালী বন্ধের চেষ্টা করবে? যদি এমনটা করে তাহলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিণতি কেমন হবে?

নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার আরও বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ প্রশ্ন, যেটির উত্তর আমাদের প্রায় কারও কাছেই নেই, সেটি হলো ইরানের কাছে এখনও কি পর্যাপ্ত পরিমাণে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম (এইচইইউ) মজুদ রয়েছে? এবং তারা কি জানে, কিভাবে এটি দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা যায়? আর তারা কি এখন একটি অপরিশোধিত পরমাণু বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

অন্যভাবে বললে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের এই সম্মিলিত হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি কমেছে, নাকি এই ঝুঁকি আরও বেড়েছে?

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান যদি পর্যাপ্ত এইচইইউ সংরক্ষণ করে থাকে, তাহলে তাদের বিজ্ঞানীরা যদি অবাধে কাজ করতে পারে, তাহলে তারা একটি সাধারণ, প্রথম প্রজন্মের ‘গান-টাইপ’ পরমাণু বোমা তৈরি করে পরীক্ষা করতে পারবে, যেটি নিউট্রন ইনিশিয়েটর ব্যবহার করে কাজ করে। এই ধরণের বোমা তৈরি করা ‘ইমপ্লোশন ডিভাইস’ এর চেয়ে সহজ।

অনেকের ধারণা, ইরান যদি পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম হয়, তাহলে সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করবে। এতে শুরু হতে পারে একটি ভয়াবহ পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা।

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উস্কানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৪০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি