News update
  • Cyber Protection Ordinance draft approved in Advisers’ Council     |     
  • Life Expectancy Gap Tops 30 Years: UN Report      |     
  • Khaleda Zia Returns Home After Four Months in London     |     
  • World marks 80th anniv of V-E Day with parades and memorials     |     

চীনা জাহাজের জন্য নতুন বন্দর ফি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-04-19, 9:17am

5345435245-4231f47eca49d7c305eb2472f78f0e841745032622.jpg




দেশীয় জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে উৎসাহিত করতে এবং এই খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে চীন নির্মিত ও পরিচালিত জাহাজের ওপর নতুন বন্দর ফি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এ ফি কার্যকর হবে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এক বিবৃতিতে নতুন এই ফি ঘোষণা করেন।

চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। চীনা জাহাজের ওপর নতুন করে ফি নেওয়ার পদক্ষেপ উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন নিয়ম অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি টনেজ (জাহাজের ধারণ ক্ষমতা) বা প্রতি কন্টেইনারের ওপর ভিত্তি করে চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজের ওপর ফি প্রযোজ্য হবে। তবে সব বন্দরে এই ফি নেওয়া হবে না, যেমনটি এই শিল্পের কিছু লোক উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

বছরে পাঁচবার পর্যন্ত এ ফি নির্ধারণ করা হবে। মালিক যদি মার্কিন নির্মিত জাহাজের জন্য অর্ডার দেন, তাহলে ফি মওকুফ করা যেতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রভাবশালী মার্কিন জাহাজ নির্মাণ শিল্প ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং এখন বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে তাদের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এই খাতটি এখন এশিয়ার আধিপত্যে রয়েছে, যেখানে চীন বিদ্যমান সমস্ত জাহাজের প্রায় অর্ধেকই নির্মাণ করেছে। দেশটি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ তিনটি এশীয় দেশ বেসামরিক জাহাজ নির্মাণের ৯৫ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখছে।

চীন পরিচালিত জাহাজ ও চীনা নির্মিত জাহাজের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী বছরগুলোতে যা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনা নির্মিত জাহাজে ফি প্রতি এনটি ১৮ মার্কিন ডলার বা প্রতি কন্টেইনারে ১২০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হবে। এর অর্থ ১৫ হাজার কন্টেইনার বহনকারী একটি জাহাজ ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিশাল ফি গুনতে হতে পারে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেইজিং সতর্ক করে দিয়েছে, নতুন এ ফি ‘সব পক্ষের জন্য ক্ষতিকর’ হবে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, এই ফি বিশ্বব্যাপী শিপিং খরচ বাড়িয়ে দেবে, বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করবে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়াবে এবং মার্কিন ভোক্তা ও ব্যবসায়িক স্বার্থের ক্ষতি করবে। অবেশেষে তারা মার্কিন জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে সফল হবে না।

প্রায় ৩০টি শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন দল গত মার্চ মাসে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর এই ধরনের ফি নির্ধারণের ঝুঁকি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। দলটির এক জরিপে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, চীন ও অন্যান্য দেশের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্কের পাশাপাশি প্রস্তাবিত ফি ‘মার্কিন খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপে’ ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয় এমন সব গাড়ি পরিবহণকারী জাহাজগুলোকেও ১৮০ দিনের মধ্যে একবার ফি দিতে হবে। ওয়াশিংটন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহণকারী জাহাজের জন্যও নতুন ফি চালু করছে, যদিও সেগুলো তিন বছরের জন্য কার্যকর হবে না।

ঘোষণাপত্রের সঙ্গে থাকা একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, গ্রেট লেক বা ক্যারিবিয়ান শিপিং, মার্কিন অঞ্চল থেকে আসা-যাওয়া জাহাজ অথবা বাল্ক পণ্য রপ্তানি জাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রে খালি এলে ফি দিতে হবে না।

জাহাজের ওপর ফি ঘোষণা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার কিছু জাহাজ থেকে তীরে পণ্য নেওয়া ক্রেন ও  চীনা কার্গো হ্যান্ডলিং সরঞ্জামের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক ঘোষণা করেছেন।

গ্রিয়ার বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপগুলো চীনা আধিপত্যকে বিপরীত দিকে নিয়ে যাবে, মার্কিন সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য হুমকি মোকাবিলা করবে এবং মার্কিন নির্মিত জাহাজের জন্য চাহিদা তৈরি করবে।