News update
  • Govt reaffirms commitment to distribute school books by Jan     |     
  • Dhaka’s air turns ‘unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • BD’s leather sector stuck at $1bn; could tap $5bn: Experts      |     
  • RU suspends ward quota reinstatement amid student protests     |     
  • Airports across Europe face disruptions due to cyberattack     |     

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ মার্চের মধ্যে শেষ করার দাবি বিজিএমইএ’র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2023-02-09, 7:52pm

image-77993-1675778041-51a88f69cca878b009c5863a350d8c0d1675950777.jpg




মহাসড়কে পোশাক শিল্পের পণ্য চুরি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ আগামী মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় পোশাক শিল্পে আইন-শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান।

সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ হাজারেরও বেশি কাভার্ড ভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক পণ্য চুরি করেছে একটি চক্র। বিগত  ২০২২ সালেই প্রায় ২০-২২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রকি সময়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে ব্রাজিল থেকে ক্রেতা ভিডিও এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারককে জানায় যে, প্রায় বেশিরভাগ কার্টনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পোশাক তারা বুঝে পায়নি। এমনকি কিছু কার্টন খালি ছিলো। ওই শিপমেন্টে ২৬ হাজারের বেশি পোশাক ছিলো। প্রায় ৮ হাজারের মতো পোশাক চুরি হয়।

ইতোমধ্যে র‌্যাব এই চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রের হোতাসহ ৪জনকে গ্রেফতার এবং যে কাভার্ড ভ্যানে করে তারা ব্রাজিলের পণ্য চুরি করেছিলো, সেই কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেছে।

ফারুক হাসান বলেন, কার্টনে পোশাকের পরিবর্তে ঝুট বা মাটি প্রদান করা হয়েছে, যাতে ওজন ঠিক থাকে। এতে করে ক্রেতাÑবিক্রেতার আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, দেশ মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা হারাচ্ছে। 

মহাসড়কে পোশাক চুরি বন্ধে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ দ্রুততার সঙ্গে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। চুরি কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দরকার। এদেরকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দাদেরও কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন তিনি। 

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, কতিপয় নাম সর্বস্ব কোম্পানি এসব চুরির মালামাল ক্রয় করে স্টকলট হিসেবে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। স্টকলট রপ্তানির ক্ষেত্রে মালের উৎস নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ বা বিকেএমইএ থেকে সনদপত্র গ্রহনের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। কাভার্ড ভ্যান  মালিক সমিতি, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতি, কাভার্ড ভ্যান চালক এবং হেলপারদের ডাটাবেইজ প্রস্তত করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখার দাবি করেন তিনি। তথ্য সূত্র বাসস।