
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে লুকিয়ে পড়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই এসব ভিসার অপব্যবহার কমাতে দেশটিতে যেতে ভিসার আবেদনেই লাগতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড!
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে, যার আওতায় কিছু নির্দিষ্ট দেশের পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য ১৫,০০০ ডলার (যা প্রায় ১৮ লাখ বাংলাদেশি টাকার সমমান) পর্যন্ত বন্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত নিয়মটি মূলত সেইসব দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত সময় অবস্থান করার প্রবণতা বেশি। এই পরিকল্পানি মূলত এমন একটি ব্যবস্থা, যা ভিসা আবেদনকারীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ত্যাগ করা নিশ্চিত করবে। যদি কোনো ব্যক্তি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে, তাহলে তার জমা রাখা বন্ডের সম্পূর্ণ বা আংশিক অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এর মাধ্যমে ভিসা আবেদনকারীদের মধ্যে ভিসার শর্ত মেনে চলার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা এবং অতিরিক্ত সময় অবস্থানের প্রবণতা কমানো যাবে বলে মনে করছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ১২ মাসের জন্য চালু করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে অভিবাসন নীতির কার্যকারিতা বাড়াতে চাইছে। যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থেকে যায়, তাদের জন্য এই নতুন নিয়ম চাপ তৈরি করবে। এই প্রস্তাবটি যদি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হয়, তবে এটি কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভিসা প্রাপ্তি আরও কঠিন করে তুলবে। বিশেষ করে যারা উচ্চ আর্থিক সক্ষমতা সম্পন্ন নন, তাদের জন্য এই পরিমাণ অর্থ বন্ড হিসেবে জমা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হতে পারে। ফলে, বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ সীমিত হয়ে আসতে পারে।