News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

পূজার ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর সুন্দরবন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2024-10-14, 7:37am

nongla_news_pic-7e59ecd0fe388983de20c0f3fbaa9a201728869868.jpg




পূজার ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। টানা চার দিনের ছুটির শেষ দিন রোববার (১৩ অক্টোবর) সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে সুন্দরবনে।

এই ছুটিতে কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে আবার কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। সুন্দরবন ভ্রমণে এসে আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি নানা সমস্যার দিকও তুলে ধরছেন পর্যটকরা।

যদিও এখন পর্যটন মৌসুম নয়। মূলত শীতকালে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। বাকি সময়টাতে স্বল্প সংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলে সুন্দরবনে। আর বছরের বিভিন্ন ছুটির দিনেও বাড়ে পর্যটক। কিন্তু এরই মধ্যে পূজার ছুটিতে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। পূজার ছুটি কাটাতে ও আনন্দ উপভোগে লোকজন বেছে নিয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণকে। ছুটির শেষ দিন সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছেন সুন্দরবনে।

একদিকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মনে রয়েছে বনের হিংস্রতার ভয়। অপরদিকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মধ্যে ভয়কে জয় করে মেতে উঠছেন আনন্দ উপভোগে। বনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী দেখে খুশি দর্শনার্থীরা। 

করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে আশা সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা শিক্ষিকা জাহানারা আফরোজ বলেন, খোলা বনে বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ভয় তো লাগছেই। বানর, হরিণ, কুমিরসহ অনেক প্রাণী দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে।

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, এবার নিয়ে সুন্দরবনে দুবার আসা হলো। প্রকৃতির টানে ছুটে এসেছি, প্রাণ-প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোই লাগছে।

কুমিল্লা থেকে আসা স্কুল শিক্ষার্থী জান্নাত বৃষ্টি আক্ষেপ করে বলেন, বাঘ দেখতে পারিনি, দেখতে পারলে ভালোই লাগত। বাঘ ছাড়া অন্যান্য পশুপাখি দেখছি, আনন্দ লাগছে। 

চাঁদপুর থেকে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস ও আমিনুল দম্পতি বলেন, সুন্দরবনের স্পটগুলোতে বিদ্যুৎ নেই, তাই গরমে কষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া খাবার পানিরও কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই হাত-মুখ ধোয়ার পানির ব্যবস্থাও। তাই আনন্দ অনেকটা নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আসা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটামুটি, তবে আরো ভালো হতে পারত। 

করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায় সুন্দরবনের পর্যটকদের আগমন বাড়তে শুরু করেছে। আর পূজার ছুটিতে পর্যটকের আগমন আরও বেশি। আমরা আগত পর্যটকদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যারা একবার আসবে, তারা বারবারই আসতে চাইবে এখানে। এনটিভি।