News update
  • Bangladesh in a Catch-22 Situation     |     
  • Global Press Freedom Index Falls to Critical Low     |     
  • Brutal aid blockade threatens mass starvation in Gaza     |     
  • Uncle, nephew picked up by BSF in Patgram     |     
  • Dhaka 3rd worst polluted city in the world Saturday morning     |     

এবার হজের সেবায় বিশৃঙ্খলার শঙ্কা এজেন্সিগুলোর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-04-28, 11:11am

4t453w42-02936af72b9dfbe1b970f6f18909b78d1745817096.jpg




এবারের একটি এজেন্সির অধীনে থাকবে এক হাজার হজযাত্রী। আর এই লিড এজেন্সির কোটা পূরণ করবে একাধিক সাব-এজেন্সি। এতে হজ সম্পন্ন হলেও সেবায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে খোদ এজেন্সিগুলোই। সংশ্লিষ্টদের মতে, এজেন্সিভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন হজ প্যাকেজ সমন্বয় করাই বড় চ্যালেঞ্জ।

চলতি বছর একটি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন এক হাজার যাত্রী। তাদের দেখভালের মূল দায়িত্বও থাকবে সেই এজেন্সির। তবে লিড এজেন্সির এক হাজার কোটা পূরণে থাকতে পারবে একাধিক সাব-এজেন্সি। এতে অব্যবস্থাপনার আশঙ্কা করছেন এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা।

তাদের দাবি, এজেন্সিগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজে হজে যাবেন মুসল্লিরা। এর ফলে তাদের থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক সেবা সমন্বয় করাই বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জবাবদিহিমূলক নির্দেশনার দাবি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ওভারসিস লিংকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল ওয়াহাব মামুন সময় সংবাদকে বলেন, 

এক হাজারের কোটা পূরণ করার বিষয়টা দেখা হচ্ছে। কিন্তু এতে এজেন্সির গুণগত বিষয়টি দেখা হচ্ছে না। এভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চললে এক সময় হজটা মনোপলি হয়ে যাবে।

ট্যুর হাব বিডির সিইও সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘হাজিদের সঙ্গে আমাদের একভাবে অঙ্গীকার করা। হয়ত আরেক এজেন্সির আরেকভাবে অঙ্গীকার করা। সবাই যখন একসঙ্গে হয়ে যাচ্ছে, তখন সেবার একটা বড় ধাক্কা আমাদেরকে পেতে হবে। একটা গাইডলাইন থাকলে আমাদের জন্য ভালো হত।’   

হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষের দিকে একটি এজেন্সির কোটা ২৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৫০০ জন। আর জানুয়ারিতে সংখ্যা দ্বিগুণ করে এক হাজারে উন্নীত করে সৌদি সরকার। আগামী বছর এটি বাড়িয়ে ২ হাজার করা হলে বাংলাদেশি এজেন্সির সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫টিতে। এজেন্সি সংখ্যা কমে আসায় হজ ও বিমান ভাড়ায় যোগাসাজশের শঙ্কাও দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার বলেন, 

ধরুন লিড এজেন্সি এ বছর ৭০টা হয়েছে, আগামী বছর হলো ৩৫টি। তখন ওই ৩৫টি এজেন্সি কাজ করলে তখন তো আর হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনও থাকবে না। তখন এটা সিন্ডিকেট হয়ে যাবে। সুতরাং এটা যেকোনোভাবে সরকারের নীতি অনুযায়ী, ১০০ থেকে ৩০০- এর মধ্যে রাখতে হবে।  

মন্ত্রণালয় বলছে, অধিক এজেন্সির ঝামেলা এড়াতে সব দেশেই এজেন্সির সংখ্যা কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। তবে হাজিদের সেবা নিশ্চিতে সব এজেন্সিই থাকবে জবাবদিহির আওতায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন,এজেন্সিগুলোকে এ, বি, সি ও ডি করে ক্যাটাগরি করা হয়েছে। যাদের পারফরম্যান্স একেবারে অসহনীয় হবে বা আমাদেরকে বিব্রত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।  

একাধিকবার সময় বাড়িয়েও ২০২৫ সালে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ নিবন্ধনের কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ বছর হজে যাবেন ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী।

চলতি বছর গত ৩০ অক্টোবর সরকারিভাবে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষিত সাশ্রয়ী সাধারণ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী, খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এ হিসাব খাবার ও কোরবানির খরচ ছাড়া।

বেসরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

পরে ৬ নভেম্বর হাবের বাতিল হওয়ার কমিটি ‘সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকবৃন্দ’ ব্যানারে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। খাবার খরচ যুক্ত করে সাধারণ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

পরদিন ৭ নভেম্বর ‘বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকরা’ তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রথম প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৮৫ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।